শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সু চির শুনানির মধ্যেই আরও দুই মামলা দায়ের

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২১, ১৭:১৬

গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ মিয়ানমারে অভ্যত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নেয় সেনাবাহিনী। সে সময় দেশটির বেসামরিক সরকারের প্রধান অং সান সু চিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলায় দায়ের করা হয়। আজ সোমবার (১ মার্চ) এই ডি ফ্যাক্টো নেত্রীর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনে আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জানা যায়, স্থানীয় একটি আদালতে রাজধানী নেপিদো থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের শুনানিতে অংশ নিয়েছেন সু চি। এ সময় তাকে স্বাভাবিক দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

শুনানির মধ্যেই তার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সু চির আইনজীবী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সোমবার সকাল থেকেই আবারও মিয়ানমারে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) এই নেত্রীকে ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতারের পর এই প্রথম জনসম্মুখে দেখা গেলো। এর আগে তিনি কেমন আছেন তা নিয়ে উদ্বেগ ছিলো জনগণের মধ্যে।

নতুন করে দুই মামলার ছাড়াও আগের মামলাগুলোতে সুচির বিরুদ্ধে আমদানি-রফতানি আইন ভঙ্গ এবং অবৈধভাবে যোগাযোগ ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সে সময় আদালতে সু চির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্রে বলা হয় যে, তিনি যোগাযোগ সরঞ্জাম- ওয়াকিটকি অবৈধভাবে আমদানি ও ব্যবহার করেছেন, যা তার নেপিদোর বাড়িতেই পাওয়া গেছে।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন ছিলো রবিবার। এর আগে একদিনে এত বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়নি। এদিন অন্তত ১৮ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক দফতর। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতদের সবাই পুলিশের গুলি, গ্রেনেড ও টিয়ার শেলের আঘাতে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নিরাপত্তা বাহিনীর নজিরবিহীন দমন-পীড়ন ও গণ-গ্রেফতার গ্রহণযোগ্য নয়।

এক বিবৃতিতে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রবিবারের ঘটনায় সামরিক বাহিনীর প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। একই সঙ্গে হতাহতের ঘটনার জেরে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে জোটটি।

ইত্তেফাক/টিআর