শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কোচবিহারে মমতা-মোদিসহ রাজনীতিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২১, ১০:২৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জেলার শীতলকুচিতে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এ খবর প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

পশ্চিমবঙ্গে চলমান বিধানসভা নির্বাচনে গতকাল শনিবার চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন রাজ্যের কুচবিহার জেলার শীতলকুচিতে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আরো এক তরুণের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিএপিএফ বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেনো তাদের গুলি চালাতে হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মানুষ ঘিরে ফেললে আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালাতে বাধ্য হন তারা।

এ ঘটনায় রাতেই নির্বাচন কমিশন এক নির্দেশনা জারি করে জানিয়েছে, কোচবিহারের ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা জেলার ভৌগলিক সীমানার মধ্যে কোনো জাতীয় বা আঞ্চলিক বা অন্য কোনো দলের রাজনীতিককে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগে সকল প্রচার-প্রচারণা শেষ করতে হবে।

এর আগে সহিংসতার পরপরই রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি আজ রবিবার (১১ এপ্রিল) সকালেই নিহতদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সে জন্য গতকাল বিকেলেই তিনি উত্তরবঙ্গ পৌঁছে যান। কিন্তু রাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কোচবিহারে মমতা আর ঢুকতে পারেননি বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, শনিবার শিলিগুড়িতে দলের নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কীভাবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘেরাও করতে হয়, তাদের পেটাতে হয় এবং বুথে হামলা করতে হয় তা নিজ কর্মীদের ট্রেনিং দিয়ে শেখাচ্ছেন দিদি।

ইত্তেফাক/টিএ