মিয়ানমারকে যন্ত্রপাতি, ডিজিটাল নজরদারির সিস্টেম এবং নতুন মডেলের ফাইটার জেট দিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু চীন কী দিয়েছে? জেন'স ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স রিভিউ অনুযায়ী চীনে তৈরিকৃত চালকহীন আকাশযান (ইউএভি) বা ড্রোন ব্যবহার করছে মিয়ানমারের বিমানবাহিনী। দেশটির আন্দোলনকারীদের গতিবিধি নিরীক্ষণ করতেই এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) এ খবর দিয়েছে মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্য ইরাওয়াদ্দি। প্রতিবেদনে ব্রিটিশ ওপেন সোর্স প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রকাশকের বরাতে বলা হয়েছে, যেসব এয়ার ভেহিকেল দেখা গেছে সেগুলোর মালিক চীন। মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী কীভাবে এগুলো ব্যবহার করছে তা গোপন রেখেছে চাইনিজ এরোস্পেস সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কর্পোরেশন (সিএএসসি)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ছবি রিপোর্টে উদ্ধৃত করা হয়েছে। এগুলো গত মার্চে তোলা। সেগুলোতে মান্দালয়ে নিচু দিয়ে উড়তে থাকা ড্রোন দেখা গেছে। এখানে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিলেন।
মান্দালয় শহরটি মিয়ানমারের দ্বিতীয় বড় শহর। এখানে দুই ধরনের ড্রোন দেখা গেছে। এগুলো এতটাই নিচ দিয়ে উড়ছিল যে সেগুলো পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে। আরো বলা হয়, ড্রোনগুলো দিয়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি মানুষকে ভয় দেখানোর মানসিক যুদ্ধকৌশল অনুসরণ করা হচ্ছে।
জেন'স বলেছে, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন ১০ থেকে ১২টি সিএইচ-৩এ ইউএভি মিয়ানমারে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ এর মধ্যে এগুলো দেওয়া হয়েছে এবং ড্রোনগুলো মধ্য মিয়ানমারের মিকটিলা বিমানঘাঁটি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইত্তেফাক/এসএ