শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

'বাংলাদেশে মোদিবিরোধী আন্দোলন কট্টরপন্থী শক্তির মাথাচাড়া দেওয়ার ইঙ্গিত'

আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২১, ১৪:২৮

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগমনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা। সেই বিক্ষোভে নিহতের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও সহিংস হয়ে ওঠে। এই বিক্ষোভের ঘটনাকে নতুন কট্টরপন্থী শক্তির উত্থান হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (ইউএফএসএএস)। এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।

সেখানে বলা হয়, ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। ওই বছর লক্ষাধিক মানুষ জড়ো করে ইসলাম ধর্মের মর্যাদা রক্ষায় ১৩ দফা দাবি নিয়ে এক বিক্ষোভের আয়োজন করে তারা। এরপর বিভিন্ন সময়ে তারা ইসলাম ধর্মের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিক্ষোভ করেছে। মুক্ত চিন্তা, অন্যান্য ধর্মের মানুষেরা তাদের নিয়মিত টার্গেটে পরিণত হয়। হেফাজতের নেতারাও বিভিন্ন সময়ে উষ্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন।

২০১৩ সালের ওই বিক্ষোভের পর হেফাজত আমির আল্লামা শফির সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে সরকার। তারপর থেকে হেফাজতের ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রম পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু আল্লমা শফির মৃত্যুর পর আবার আন্দোলন ও বিক্ষোভের পথ বেছে নেয় হেফাজত। নতুন প্রধান বাবুনগরী তার কঠোর মনোভব সংগঠনটির মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন। যার দরুণ বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে হস্তক্ষেপ শুরু করে হেফাজত। 

ইউএফএসএএস জানায়, হেফাজতের নতুন নেতৃত্বে থাকা নেতাদের এক-তৃতীয়াংশই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে তাদের সখ্যতা চোখে পড়ার মতোই। অনেক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি জোটে থাকা জামাতের সঙ্গে বর্তমান হেফাজত নেতৃত্বের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। জামাত বর্তমানে হেফাজতকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এসব কারণেই মোদি বিরোধী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছে ইউএফএসএএস। উত্তেজনার মধ্যেই হেফাজত সমর্থকরা ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। যা কট্টরপন্থিদের কার্মক্রমকেই প্রতিনিধিত্ব করে।

ইত্তেফাক/টিআর