ভারতে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। এর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট আট ধাপের এই নির্বাচনে ইতিমধ্যে পাঁচ ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে একদিনেই সবগুলো ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছেন তিনি।
আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাজ্যের তেহট্টেয় নির্বাচনী জনসভায় প্রচারে এসে বিজেপির কট্টর সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও হাওড়ায় এক বিজেপি প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন। দিল্লির নেতারা সংক্রমিত লোকদের নিয়ে র্যালি করছেন এবং বহিরাগতদের নিয়ে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে।
বাংলায় ভোটের দফা না কমানোয় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল এক দফায় ভোট চাইলেও তারা কমায়নি। যদি কমাতো তাহলে এভাবে ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়তো না। অথচ বিজেপির কথা শুনে তারা ঠিকই প্রচারের সময় কমিয়েছে।
এর আগে শনিবার বর্ধমানে তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি বলেন, ছোট থেকে রাজনীতি করায় মানুষের মনোভাব বুঝি। এবার দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ফের রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে তৃণমূল। মানুষ বিজেপিকে এখন আর বিশ্বাস করে না এবং তারা কোথাও আসছেও না। সারা বাংলা ঘুরেই এ কথা বলছি।
বাংলা জিতে দিল্লিতে ঝাঁপাবেন বলে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, বিজেপির নেতাদের দাবি তৃণমূল সরকার নাকি এবার ক্ষমতা থেকে চলে যাবে। আমি বলবো, দিদি যাবে না, বরং থাকবে। মোদীবাবু আগামী দিনে তোমাকেই যেতে হবে। দিদিকে সাবেক বলার দরকার নেই। তোমাকেই সাবেক করা হবে।
নরেন্দ্র মোদী প্রচারে এসে মিথ্যা কথা বলে যান মন্তব্য করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তার সবটা কুপ্রচার। কেন্দ্রীয় সরকার নোটবন্দি করেছে ঠিকই। কিন্তু আজ পর্যন্ত মানুষ সেটার হিসাব পায়নি। লকডাউনে দেওয়ায় অসংখ্য লোকের চাকরি গেছে।
ইত্তেফাক/টিএ