শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হতেই বাড়ছে তালেবান হামলা

আপডেট : ০৬ মে ২০২১, ০৪:১৯

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই আফগানিস্তানে তালেবান হামলা বেড়ে গেছে। এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের দুই থেকে ছয় শতাংশ কার্যক্রম শেষ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র গত বছর তালেবানের সঙ্গে আলোচনাকালে নির্ধারিত সময়সীমা ১ মের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে না পারার পর থেকেই জঙ্গিরা আফগানিস্তান জুড়ে হামলা শুরু করেছে। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হেলমান্দ প্রদেশের পাশাপাশি আফগান নিরাপত্তা বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় গজনি ও কান্দাহারসহ আরো অন্তত ছয়টি প্রদেশে তালেবান হামলা মোকাবিলা করেছে। 

হেলমান্দের প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান আতাউল্লাহ বলেন, সোমবার বিভিন্ন দিক থেকে তালেবান হামলা হয়েছে। তারা লস্কর গহর উপকণ্ঠে চেক পয়েন্টগুলোতে হামলা করেছে এবং কয়েকটি চেকপয়েন্ট দখলও করে নিয়েছে। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে বিমান হামলা চালায় এবং এলিট কমান্ডো বাহিনীও মোতায়েন করে। এরপর তালেবান পিছু হটেছে। তবে লড়াই থামেনি। মঙ্গলবারও চলেছে লড়াই। এতে শতশত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। নতুন এই সময়সীমা অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। তালেবান গোষ্ঠী বাইডেনের ঘোষিত সেনা প্রত্যাহারের ১১ সেপ্টেম্বর সময়সীমা মেনে নেয়নি। বাইডেনের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সমালোচকরা বলছেন, সেনা সরিয়ে নিলে তালেবান আবার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করবে। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের দুই থেকে ছয় শতাংশ কার্যক্রম শেষ করেছে। বেধে দেওয়া সেপ্টেম্বরের সময়সীমা মাথায় রেখে তারা এ পর্যন্ত ৬০ পরিবহন বিমানের সমপরিমাণ মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার কর্মকর্তারা একথা জানান। 

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১৪ এপ্রিলের ঘোষণার পর থেকে ১ হাজার ৩০০টি উপকরণ ধ্বংস করে ফেলার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের দুইটি সামরিক স্থাপনা আফগান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রয়টার্স ও এএফপি।

ইত্তেফাক/এএইচপি