শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নির্বিঘ্নে সেনা প্রত্যাহার করতে আফগানিস্তানে যুদ্ধবিমান পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ০৭ মে ২০২১, ২১:৪১

সেনা প্রত্যাহার শুরুর পরেও আফগানিস্তানে আরও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিদায়বেলায় মার্কিনিদের ওপর তালেবান যেন হামলা চালাতে না পারে, সে জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান।

সংবাদ মাধ্যম বিবিসি'র বরাতে জানা যায়, আফগানিস্তানে নতুন করে ছয়টি বি৫২ লংরেঞ্জ বোম্বার এবং ১২টি এফ১৮ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি আফগানিস্তান যুদ্ধে ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, ৯/১১ হামলার দুই দশকপূর্তির আগেই আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। 

যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ মার্ক মাইলির দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে তাদের আড়াই হাজার সেনা ও ১৬ হাজার বেসামরিক ঠিকাদার আফগানিস্তানে রয়েছে। তিনি জানান, গত কয়েক মাসে আফগান বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সরকারি বাহিনী ও বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে দিনে ৮০ থেকে ১২০টি হামলা চালাচ্ছে তালেবান। 

তবে গত ১ মে সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিনিদের লক্ষ্য আর কোনো হামলা হয়নি বলে দাবি করেছেন এ কর্মকতা। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে কথিত শান্তিরক্ষার যুদ্ধ করে আসছে মার্কিন বাহিনী। তারা দেশটিতে ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, লড়েছে তালেবানের সঙ্গেও। 

গত বছর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে তালেবানের সঙ্গে ঐতিহাসিক একটি চুক্তি করেছিলেন। তাতে ঠিক হয়েছিল, আপাতত তালেবান এবং মার্কিন বাহিনী কেউ কাউকে আক্রমণ করবে না এবং ১ মের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতার একেবারে শেষদিকে  ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ১ মের মধ্যে সকল মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা হয়েছে। 

কিন্তু তাতে খুশি হয়নি ন্যাটো। তাদের বক্তব্য, এত দ্রুত সেনা প্রত্যাহার উচিত হবে না। পরে জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত কিছুটা বদলে দেন। তিনি জানান, ১ মে নয়, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু তালেবান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মে মাস পর্যন্ত চুক্তি হয়েছিল। ফলে এখন মার্কিনিদের ওপর আক্রমণ চালাতে তাদের কোনো বাধা নেই। মূলত এই শঙ্কা থেকেই নতুন করে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইত্তেফাক/এএইচপি