সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে নারীদের বন্ধ্যাত্ব বা জন্মদানে অক্ষমতার হার ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে জাস্টআর্থনিউজ।
একজন প্রজনন বিশেষজ্ঞের বরাত দিয়ে সেখানে বলা হয়েছে, চীনে বন্ধ্যাত্বের হার গত দশকে যা প্রত্যাশা করা হয়েছিল তা থেকেও অনেক দ্রুত বাড়ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১২ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে বন্ধ্যাত্বের হার ছিল ১২ শতাংশ। আর ২০২০ সালে এসে তা ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ৫.৬ জন দম্পতির মধ্যে একজন সন্তান জন্মদানের বয়সে নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। সম্প্রতি প্রজনন চিকিৎসক ও জীববিজ্ঞানী কিয়াও জি'র নেতৃত্বে পরিচালিত জাতীয় প্রজনন স্বাস্থ্য জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছরের শুরুতে জিয়াংসু প্রদেশের শীর্ষ রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থার সদস্য সান শি অনুমান করেছিলেন যে, ২০২৫ সালের মধ্যে চীনে বন্ধ্যাত্বের হার বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ শতাংশ হবে। ২০১৬ সালে পরিচালিত জরিপে প্রকাশিত বন্ধ্যাত্বের হার ১২.৫ থেকে ১৫ শতাংশের ওপর ভিত্তি করে তিনি এ কথা বলেছিলেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যে এই হার ১৮ শতাংশ হয়ে গেছে।
সম্প্রতি তিন সন্তান নীতির ঘোষণা করেছে চীন সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নীতি জন্মহার বাড়াতে খুব একটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিকিং ইউনিভার্সিটির জাতীয় উন্নয়ন স্কুলের ডিন ইয়াও ইয়াং বলেন, আমি এটা মনে করি না যে জন্মহার ব্যাপকহারে বাড়বে। সরকারের তিন সন্তান নীতির কারণে জন্মহার সাময়িক সময়ের জন্য বাড়তে পারে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য আমরা এটা আশা করতে পারি না।
ইত্তেফাক/টিএ