জিনজিয়াংয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উইঘুর সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা করতে অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর মধ্য দিয়ে তিনি মূলত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অ্যান্টি-ইসলামফোবিয়া ক্রুসেডার হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি উন্মোচিত করেছেন। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ইয়াহু নিউজ।
সেখানে বলা হয়, গত রবিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এক্সোস অন এইচবিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে ক্রমবর্ধমান ইসলামফোবিয়া নিয়ে কথা বলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তবে তিনি পশ্চিম চীনে মুসলিম গণহত্যার ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। জবাবে বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষের মতে এটা কোনো ইস্যু নয়।
ইসলামফোবিয়ার বিপক্ষে কথা বলার জন্য বিশ্বব্যাপীই সমাদৃত ইমরান খান। কিন্তু দুই বছর আগেই জিনজিয়াংয়ে উইঘুর সংখ্যালঘুদের ওপর চীনা কর্তৃপক্ষের নির্যাতনের ব্যাপারটিকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তিনি এই ব্যাপারটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের যত ইস্যুই থাকুক না কেনো তা আমরা অভ্যন্তরীণভাবে কথা বলি।
সবচেয়ে কঠিন সময়ে চীন পাকিস্তানের অন্যতম কাছের বন্ধু হিসেবে আবির্ভাব হয় জানিয়ে তিনি বলেন, যখন আমরা সত্যিই কষ্ট করছিলাম, আমাদের অর্থনীতি খারাপ অবস্থানে ছিল, তখন আমাদের উদ্ধার করতে চীন এগিয়ে এসেছিল। তাই তারা যেমনই হোক আমরা তাদের সম্মান করি।
ইত্তেফাক/টিএ