যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে শহরে একটি ১২ তলা ভবন ধসের ঘটনায় অন্তত চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৫৯ জন। তবে ভবনটিতে মোট কত মানুষ ছিল তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। নিখোঁজের তালিকায় আছেন প্যারাগুয়ের ফার্স্ট লেডি সিলভানা লোপেজ মোরেইরার বোন ও তার পরিবার। তাদের খোঁজ নিতে বর্তমানে ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন।
প্যারাগুয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনের বরাতে সিএনএন জানায়, দেশটির ফার্স্ট লেডি, তার বাবা-মা, তার বোনের শশুড়বাড়ির লোকজন ফ্লোরিডায় পৌছেছেন।
প্যারাগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্লাইডস এসিভেডো জানান, ওই ভনটিতে সিলভানা লোপেজ মোরেইরার বোন সোফিয়া লোপেজ মোরেইরা, তার স্বামী লুইস প্যাটেনগিল ও তাদের তিন সন্তান অবস্থান করছিলেন। তারা করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করার জন্য মিয়ামাইতে এসেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত দূতাবাসের লোকজন ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করছেন। উদ্ধারকারীদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন তারা। এমনকি হাসপাতালগুলোর নিয়মিত তথ্য রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিখোঁজদের মধ্যে বেশ কিছু ল্যাটিন আমেরিকান অভিবাসী আছে বলে জানিয়েছে তাদের দূতাবাসগুলো। সেখানে চিলির ১ জন, আর্জেন্টিনার ৯, প্যারাগুয়ের ৬, কলোম্বিয়ার ৬, ভেনিজুয়েলার ৬ এবং উরুগুয়ের ৬ জন নাগরিক অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
ভবনটি ৪০ বছর পুরনো। নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। এই ধসের কারণে অর্ধেক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে এখন পর্যন্ত অনেককে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা বাহিনী। বাকিদের উদ্ধারেও অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।
মিয়ামির পুলিশ প্রধান ফ্রেডি রামিরেজ জানান, এখন পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মেডিকেল কর্মীদের সঙ্গে আমাদের উদ্ধারকারী বাহিনী কাজ করছে।
ইত্তেফাক/টিআর