মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গাদ্দাফির ছেলে জীবিত এবং লিবিয়াকে ফেরত চান

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২১, ০২:২১

আরব বসন্তচলাকালীন ২০১১ সালে পালানোর সময় আটক হয়ে নির্মমভাবে প্রাণ হারান লিবিয়ার একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তবে তার ছেলে সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফি বেঁচে আছেন কি না সেটা নিয়ে এতদিন ধোঁয়াশা ছিল। ২০১৪ সালের পর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে তিনি প্রকাশ্যে এসেছেন এবং রাজনীতিতে ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস সাপ্তাহিক সাময়িকীতে সাইফের একটি সাক্ষাৎকার ছাপানো হয়েছে। সেখানেই তিনি এ কথা বলেছেন।

গত ৩০ জুলাই ছাপানো দীর্ঘ ওই সাক্ষাৎকারে সাইফ আল-ইসলাম জানান, বিমান হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েজন সঙ্গী নিয়ে প্রতিবেশী নাইজারে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সীমান্তে মরুশহর আওবারির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘জিনতান ব্রিগেড’ এর একদল সদস্যের হাতে ধরা পড়েন এবং তখন থেকে তাদের কব্জায় আছেন। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পরে সাইফের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা হয় এবং ২০১৫ সালে ত্রিপোলির আদালত তার মৃত্যুদণ্ড দেন। তবুও তাকে কারো কাছে হস্তান্তর করেনি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।

সর্বশেষ ২০১৪ সালে সাইফ গাদ্দাফির খবর মিলেছিল। এরপর থেকে গত সাত বছর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তা লিবিয়াসহ বাকি বিশ্বের অনেকেই জানতো না। এরপরই গত ৩০ জুলাই তার ছবিসহ সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয়।

সাংবাদিক লেখক রবার্ট এফ ওয়ার্থকে সাইফ আল ইসলাম জানান, গত ১০ বছরে লিবিয়া ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। এমতাবস্থায় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে বাঁচাতে তিনি তার বাবা মুয়াম্মার গাদ্দাফির রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘গ্রিন মুভমেন্ট’ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করেন।

তিনি আরও বলেন, লিবিয়াকে আবারও ফেরত চান। তারা আমার দেশকে ধর্ষণ করে হাঁটুর ওপর বসিয়েছে। কারো কাছে কোন টাকা-পয়সা ও জীবনের স্পন্দন নেই। গ্যাস স্টেশনে গেলে ডিজেল পাওয়া যায় না। অথচ আমরা ইতালিতে তেল-গ্যাস রফতানি করি। সেখানকার অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় লিবিয়ার তেল-গ্যাসে। অন্যদিকে, আমার দেশে এখনো লোডশেডিং চলে।

সাইফ আল-ইসলাম গাদ্দাফির বিশ্বাস, লিবিয়ার বহু মানুষ তার কথায় একমত হবেন। কারণ, যে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১১ সালে লিবিয়ায় বিদ্রোহ হয়েছিল সেই চিত্র দেশটিতে এখনো রয়েছে। দারিদ্র্য ও নিরাপত্তাহীনতা বহুগুণে বাড়ার পাশাপাশি ক্রমাগত গৃহযুদ্ধ চলছে।

তিনি এখনো বন্দি কিনা এমন এক প্রশ্নে জবাবে সাইফ বলেন, তিনি মুক্ত। দেশের রাজনীতিতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ইত্তেফাক/টিএ