শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অর্থসংকটে আসবাবপত্র বিক্রি করছেন আফগানরা

আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৫৮

আফগানিস্তানের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে এখন তালেবান। সরকার গঠন করেছে। শপথ না নিলেও সরকারের কার্যক্রম চলছে ঢিমেতালে। ব্যাংক খোলা, কিন্তু টাকা নেই। এটিএম বুথের সামনে দিন-রাত মানুষের অপেক্ষা, কখন টাকা ঢুকবে মেশিনে। অর্থের অভাবে মানুষ জীবন বাঁচানোর জন্য ঘরের আসবাবপত্র পর্যন্ত বিক্রি করছেন।

কাবুলের রাস্তায় অনেক স্থানেই দেখা যাচ্ছে, ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন নাগরিকরা। এদের মধ্যে একজন শুকরুল্লাহ। তিনি চারটি কার্পেট নিয়ে এসেছেন। চামোন-হজোরির পুরোটা এলাকাতেই বালিশ, কুশন, ফ্যান, কম্বল, সিলভারওয়্যার, কারটেইনস, বিছানা, ম্যাট্রেস, কুকওয়্যার, শেলভস এবং আরও অনেক জিনিসপত্র পড়ে আছে। শুকরুল্লাহ বলেন, আমি চারটি কার্পেট কিনেছিলাম ৫৫৬ ডলারে। কিন্তু এখন বিক্রি করে ৫৮ ডলারও পাব না।

Buyers browse second-hand household items for sale at a market in the northwest neighbourhood of Khair Khana in Kabul

বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, ২০২২ সালের মধ্যে দেশটির ৯৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। এরই মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৬০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে। এর বেশির ভাগই যাবে আফগানদের খাদ্য সরবরাহ করতে।

গত মাসে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আজমল আহমাদি জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করে তাহলে জিডিপি ২০ শতাংশেরও নিচে নেমে যাবে।

Kabul's bazaars are packed full of items offloaded by Afghans who have fled the countryবিশ্বব্যাংক বলছে, কোনো দেশের জিডিপির ১০ শতাংশ যদি বিদেশি তহবিলের ওপর নির্ভরশীল হয়, তাহলে বিদেশিদের ওপরই তারা নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর আফগানিস্তানের জিডিপির ৪০ শতাংশই গত ২০ বছর ধরে বিদেশি তহবিলের ওপর নির্ভরশীল। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশটির অর্থনীতি একেবারেই ধসে পড়বে। সূত্র: আল জাজিরা

ইত্তেফাক/এমআর