নারী ও পুরুষের একসঙ্গে কাজ করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তালেবানের অন্যতম সিনিয়র নেতা ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি। তবে তার এই কথা আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীটির নীতির কতটা প্রতিফলন তা স্পষ্ট নয়। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই নেতা বলেন, নারীদের যেখানে খুশি সেখানে কাজ করার অধিকার দেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ রয়েছে। তবে সেটি সত্ত্বেও তালেবান নিজস্ব সংস্করণের শরিয়াহ বা ইসলামি আইন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।
এক সাক্ষাৎকারে ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি বলেন, ‘শরিয়াহ আইন বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা ৪০ বছর ধরে লড়াই করছি। আর তা নারী-পুরুষকে একত্র হতে বা এক ছাদের নিচে একসঙ্গে বসার অনুমতি দেয় না।
নারী ও পুরুষ একসঙ্গে কাজ করতে পারেন না এবং এটা পরিষ্কার। মন্ত্রণালয়ে কাজ করার অনুমতি নারীদের নেই।’
গত ৭ সেপ্টেম্বর নতুন সরকারের ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। মন্ত্রীসভায় কোনো নারী প্রতিনিধি রাখা হয়নি। হাশিমি বলেন, মিডিয়া এবং ব্যাংকিং সেক্টরেও নারীদের কাজ বন্ধ করা হবে।
তবে নারীদের শিক্ষা এবং মেডিক্যাল সেক্টরে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তারা পড়াশোনাও করতে পারবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।
অবশ্যই নারীদের প্রয়োজন রয়েছে, যেমন মেডিক্যাল ও শিক্ষা সেক্টরে। আমরা তাদের জন্য আলাদা ইন্সটিটিউট, হাসপাতাল, সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এবং আলাদা মাদ্রাসা গঠন করবো, যোগ করেন তিনি।
ইত্তেফাক/টিএ