যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমঝোতার পর ফ্রান্সের সঙ্গে তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলারের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির চুক্তি বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। ফ্রান্স ক্ষুব্ধ হলেও এই সিদ্ধান্তকে সঠিক দাবি করছে করছে দেশটি। খবর বিবিসি।
অস্ট্রেলিয়া মিথ্যা বলছে ফ্রান্সের এমন দায় অস্বীকার করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ফ্রান্সের এ বিষয়ে সাবধানতার প্রয়োজন ছিলো। কারণ তাদের সঙ্গে হওয়া চুক্তিটি যেকোনো সময় ভাঙ্গার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সমঝোতার পর ফ্রান্স বলছে, অকাস চুক্তির কারণে মিত্রদের মধ্যে গুরুতর সংকট দেখা দিয়েছে।
এই বক্তব্যের পর এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নেয় ফ্রান্স। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আনে তারা।
গত বুধবার অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে চীনকে মোকাবিলায় বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্য মোকাবিলার অংশ হিসেবে এই চুক্তিকে দেখা হচ্ছে। চীন অন্যায়ভাবে দক্ষিণ চীন সাগরকে তাদের বলে দাবি করছে বলেও বলা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আবার বক্তব্য দিয়েছে চীন। তারা বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগর তাদেরই। তা নিজেদের বলে দাবি করার কিছু নেই।
কিন্তু ত্রিদেশীয় চুক্তির ফলে ফ্রান্সের কাছ থেকে আর সাবমেরিন নেবে না ক্যানবেরা। আর এতেই ক্ষুব্ধ ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রশাসন। পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান উত্থানকারী শক্তি চীনকেও ক্ষুব্ধ করেছে বলে ধারণা করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
ইত্তেফাক/টিআর