করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ভারতের দিল্লির গাজিয়াবাদ জেলার ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে তিনি সুস্থও হয়েছেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, তার শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের জীবাণুও ছড়িয়ে পড়েছে। যার প্রভাবে তার শরীরের কিডনি, ফুসফুস ও সাইনাস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এমন অবস্থায় তার সম্পূর্ণ ডান কিডনি ও বাম ফুসফুসের একটি অংশ পুরোপুরি সরিয়ে দিয়েছে চিকিৎসকরা। যুবকটির জীবন বাঁচাতেই এ সিদ্ধান্ত নেন তিন সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসকদের বিশেষ দল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন রোগী বিশ্বের মধ্যে এই প্রথম।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে ওই ব্যক্তির অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা পরবর্তী অসুস্থতার কারণে ওই ব্যক্তিকে গাজিয়াবাদের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সে সময় তার শরীরে শ্বাসকষ্ট, থুতনিতে রক্ত এবং উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর ছিল। পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর দেখা যায়, ফাঙ্গাসটি কেবল তার নাকের গহ্বরেই নয়, বাম ফুসফুস এবং ডান কিডনিতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বাম ফুসফুসের কিছু অংশ এবং ডান কিডনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অবস্থা এমন পর্যায়ে দাঁড়ায় যে, সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই দুটোই সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী দীর্ঘ ছয় ঘণ্টার জটিল এক সার্জারির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ডান কিডনি ও বাম ফুসফুসের একটি অংশ পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং রোগী দ্রুত উন্নতি করছে। আরও কয়েক সপ্তাহ তাকে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল মেডিসিন দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ৪৫ দিন পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
ইত্তেফাক/টিএ