শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সাবমেরিন ইস্যুতে ভারতকে পাশে পেলো ফ্রান্স

আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৪৯

ফ্রান্সের কাছ থেকে এক ডজন সাবমেরিন কেনা নিয়ে পাঁচ বছর আগে করা একটি চুক্তিকে হঠাত্ পাশ কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেভাবে আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি করেছে, তাতে পশ্চিমা বিশ্বের মৈত্রী, ঐক্য এবং আস্থা সমূলে নাড়া খেয়েছে। ক্ষুব্ধ এবং অপমানিত ফ্রান্স ক্যানবেরা এবং ওয়াশিংটন থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠিয়েছে, ব্রিটেনের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা সংলাপ বাতিল করেছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার ফোনালাপ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। তারা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। ম্যাক্রঁও ভারতের স্বায়ত্তশাসন ইস্যু, শিল্প ও প্রযুক্তিতে সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন।

এদিকে, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সাবমেরিন বিতর্কে ইইউকে পাশে পেল ফ্রান্স। সোমবার ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, ‘আমাদেরও কিছু বিষয় জানার আছে। কিছু প্রশ্ন আছে, যার উত্তর পাওয়া দরকার।’

Modi, Macron review bilateral cooperation in Indo-Pacific amid AUKUS row;  France says leaders vow to 'act jointly' | India News,The Indian Express

সিএনএনকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এক সদস্য দেশের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা জানতে চাই কী হয়েছিল, কেন এটা হলো?’ ইইউর অন্যতম প্রধান কূটনীতিক জোসেপ বরেল বলেছেন, ‘ইইউ ফ্রান্সের পাশে আছে।’

অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণুচালিত সাবমেরিন দেওয়া নিয়ে চুক্তি করেছে আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য। তাতে ফ্রান্স বেজায় চটেছে। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরমাণুচালিত সাবমেরিন বিক্রি করার কথা ছিল ফ্রান্সের। তারা এখন আমেরিকা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বাসঘাতক বলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সঙ্গে কথা বলতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা নেতারা এবং কূটনীতিকেরা এখন নিউ ইয়র্কে জতিসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলি বা সাধারণ পরিষদের বার্ষিক বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য গেছেন। মঙ্গলবার এই বৈঠক শুরু হবে।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিন দেশের মধ্যে সাবমেরিন চুক্তি আস্থার সংকট তৈরি করেছে। বাইডেন ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, আমাদের মনে হয়, একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া, অন্যকে না বোঝার নীতি নিয়ে অতীতেও তারা চলেছেন, এখনো চলছেন।

ইত্তেফাক/টিআর