শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ক্রাইস্টচার্চ আক্রান্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে ইহুদিরা

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০১৯, ১৬:২০

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গের ইহুদি উপাসনালয় সিনাগগে হামলা চালিয়ে ১১ জনকে হত্যা করে এক উগ্রবাদী। সে সময় আক্রান্ত ইহুদিদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলো স্থানীয় মুসলিমরা। সংগ্রহ করেছিলো লাখ লাখ ডলার। এবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর তহবিল সংগ্রহে এগিয়ে এসেছে পিটসবার্গের ইহুদিরাও। সিএনএন, জেরুজালেম পোস্ট।

ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর পরই আক্রান্তদের জন্য তহবিল গঠন করে গ্রেটার পিটসবার্গ জিউশ(ইহুদি) ফেডারেশন। সংগঠনের চেয়ারম্যান মেরিল আইন্সম্যান বলেন, ‘বন্দুক হামলার প্রভাব কতটা ভয়াবহ তা আমরা এবং মুসলিমরা উভয়ই বুঝি। এ ধরনের নারকীয় হামলার ঘটনায় আমরা শোকে স্তব্ধ। আমাদের প্রার্থনা আহতরা দ্রুত সেরে উঠুক। আর নিহতদের স্মৃতি হোক শক্তির উৎস।’

সিএনএন জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে সিনাগগে ওই হামলার পর ‘মুসলিম ইউনাইট ফর পিটসবার্গ সিনাগগ’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে পিটসবার্গের মুসলিমরা। সে সময় বন্দুক হামলায় আক্রান্তদের জন্য ২ লাখ ডলারের বেশি সংগ্রহ করা হয়েছিলো।

ক্রাইস্ট হামলার পর জিউশ ফেডারেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ক্রাইস্টচার্চ, পিটসবার্গসহ সারাবিশ্বের মুসলিমদের সঙ্গে আমাদের সংহতি প্র্রকাশ করছি।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদে মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালান শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট।  এতে এ পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। অক্টোবরে সিনাগগেও হামলা চালিয়েছিলো আরেক শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী।

এ ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে যান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার বাংলাদেশি নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে শান্তির দেশ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ডে এমন জঘন্য হামলার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েন দেশটির মানুষ।

আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীকে জাস্টিন ট্রুডোর ফোন

হামলাকারী ব্রেন্টন স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে হামলা চালায়। এ ধরনের অস্ত্র সহজেই যাতে যে কারো হাতে চলে না যায় হামলার পর সেই লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা।

ইত্তেফাক/টিএস