বয়সে সেঞ্চুরি পার করেছেন! স্বাধীনতার পর থেকে একটা নির্বাচনের ভোট দেওয়া বাদ দেননি অতুলচন্দ্র। এখন তিনি পুরো গ্রামের আইকন। সবার আগে নিজে ভোট দেন এবং বাকিদের ভোট দিতে নিয়ে যান। তাকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের এক্তারপুর গ্রামের।
ভোটার কার্ডে বয়স একশো চার বছর। তাতে তিন বছরের গরমিল রয়েছে বলে দাবি পূর্ব মেদিনীপুরের এক্তারপুরের বাসিন্দা অতুলচন্দ্র রাজের। আসলে তার বয়স একশো সাত। বয়সের ভারে চামড়ায় ভাঁজ। ঝুঁকেছে কোমর। তবুও নিজের কাজ নিজে করতেই ভালবাসেন অতুলচন্দ্র। এখনো বেগুন ক্ষেতে মাটি কোপান। পাড়া ঘুরতে বের হন লাঠি হাতে। চশমার ধার ধারেন না। খবরের কাগজ পড়েন খালি চোখেই। সাদামাটা মাছ-ভাতেই তৃপ্তি পান অতুলচন্দ্র।
আরো পড়ুন: চাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঝুপড়িতে, ঘুমন্ত ৪ শ্রমিক নিহত
পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছেন দু'বার। জিতেওছেন। আজ পর্যন্ত একটা নির্বাচনেও বাদ নেই অতুলচন্দ্রের। এখন তিনি গ্রামের প্রবীণ ভোটার। সকলের আগে তার ভোট দেওয়াটা এক্তারপুরের অলিখিত নিয়ম। নিজে ভোট দেন। বাকিদেরও ভোট দিতে বলেন।
পরিবারের পদবী নিয়েও ভারী গর্ব অতুলচন্দ্রের। মহিষাদল রাজবাড়িতে গোপাল জিউর মন্দির তৈরিতে তার দাদুর বড় ভূমিকা ছিল। তারই বদলে মিলেছিল রাজ উপাধি। সেই থেকেই মাইতি পরিবার হয়ে যায় ‘রাজ’ পরিবার।
ইত্তেফাক/বিএএফ