শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘জরিপ যাই বলুক, বিজেপি হারছেই’

আপডেট : ২০ মে ২০১৯, ০৯:১২

জরিপের ফলাফলে বিশ্বাসী নন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, হাজার হাজার ইভিএমে কারচুপি করতে এবং জনমত বিকৃত করতেই এই সমীক্ষা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার করা হয়। মমতা বলেন, জরিপ যাই বলুক, বিজেপি হারছেই।

ভারতের রবিবার লোকসভা নির্বাচন শেষে দেশজুড়ে দেশটির বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে সম্প্রচার করা হয় বুথ ফেরত জরিপের ফল। সমীক্ষার ফলাফল কেন্দ্র করে চলেছে বিশেষজ্ঞদের কাটাছেঁড়া, বিশ্লেষণ। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত এই সমীক্ষার শিকড়েই কুঠারাঘাত করলেন মমতা।

এদিন নিজের টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, 'এক্সিট পোল নিয়ে এই গুজবে আমি বিশ্বাস করি না। এর মাধ্যমে হাজার হাজার ইভিএম-এ নথিভুক্ত ভোটের ফলাফল বিকৃত করা অথবা বদলে দেওয়ার এই এক ষড়যন্ত্র। সমস্ত বিরোধী দলের প্রতি ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী ও সাহসী থাকার আবেদন জানাচ্ছি।' 

গতকাল কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বুথ ফেরত জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।সেখানে টাইমস নাও-ভিএআর এর বুথ ফেরত জরিপের ফলে বলা হয়েছে, এনডিএ জোট পাচ্ছে ৩০৬ আসন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ পাচ্ছে ১৩২টি এবং অন্যান্যরা পাচ্ছে ১০৪টি আসন। 

রিপাবলিক-সি ভোটার জরিপের ফল বলছে, এনডিএ পাচ্ছে ২৮৭, ইউপিএ ১২৮টি এবং অন্যান্যরা পাচ্ছে ১২৭টি আসন। নিউজ নেশনের জরিপে বলা হয়েছে, এনডিএ জোট পাচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ আসন, ইউপিএ পাচ্ছে ১১৮ থেকে ১২৬টি, অন্যান্যরা পাচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৮টি আসন।

এবিপি-নিয়েলসন এর জরিপের তথ্য অনুযায়ী এনডিএ পাচ্ছে ২৬৭টি। তাদের তথ্য অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাচ্ছে না বিজেপি জোট। অন্যদিকে ইউপিএ জোট পাচ্ছে ১২৭টি আর অন্যান্যরা পাচ্ছে ১৪৮টি আসন।

এসব প্রতিষ্ঠানের জরিপে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে আসন কমছে তৃণমূলের। এবিপি-নিয়েলসন বলছে, তৃণমূল পাবে ২৪টি, বিজেপি পাবে ১৬টি আর কংগ্রেস পাবে দুটি আসন। আর এবারের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে আসনশূন্য থাকবে বামরা।

আরো পড়ুন: অভিশংসনের মতো কাজ করছেন ট্রাম্প

টাইমস নাও-ভিএআর এর জরিপে বলা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে পেতে পারে ২৮টি, বিজেপি ১১টি, কংগ্রেস দুটি আর বামফ্রন্ট ১টি আসন। রিপাবলিক-সি ভোটার জরিপের ফল অনুযায়ী তৃণমূল পাবে ২৯টি, বিজেপি ১১টি আর কংগ্রেস ২টি আসন। গত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৬টি আসন পেয়েছিল। আর বিজেপি পেয়েছিল মাত্র দুটি আসন।

ইত্তেফাক/এসআর