শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এভারেস্টে জনজট

আপডেট : ২৬ মে ২০১৯, ০৪:২২

এই মৌসুমে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্বতারোহী এভারেস্টে ওঠার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে নেপাল ৩৮১ জন পর্বতারোহীকে এভারেস্টে ওঠার অনুমতি দিয়েছে। এতো বেশি সংখ্যক পর্বতারোহীর এভারেস্ট অভিযানের ফলে দেখা দিয়েছে জনজট। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া থেকে নামতে গিয়ে গত এক সপ্তাহে ৭ জন পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। নামার সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে। ফলে দেখা দিচ্ছে অক্সিজেন সঙ্কট। মূলত অক্সিজেন সংকটের কারণেই মারা যাচ্ছেন পর্বতারোহীরা। ৮ হাজার ফুট উঁচুতে ক্যাম্প-৪ এ আটকে থাকতে হচ্ছে পর্বতারোহীদের। তবে নেপাল পর্যটন বিভাগের মহাপরিচালক ড্যানজুরাজ ঘিমিরে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বক্তব্য: এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে পর্বতারোহীর মৃত্যুর বিষয়টি সত্য নয়।

সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার। এতো উঁচুতে সাধারণত অক্সিজেনের পরিমাণ অনেক কম থাকে। সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিবেশে যেখানে নিঃশ্বাস নিলে যে পরিমাণ অক্সিজেন মেলে এভারেস্টের চূড়ায় তার এক-তৃতীয়াংশ অক্সিজেন পাওয়া যায়। এ কারণে এভারেস্টের চূড়ায় পর্বতারোহীরা বাড়তি অক্সিজেন ছাড়া বেশিক্ষণ অপেক্ষা করে না। ১৯২২ সালে এভারেস্টে পর্বতারোহীর মৃত্যুর হিসাব রাখার পর থেকে এভারেস্টের চূড়ায় ২০০ পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে।

এই মৌসুমে আবহাওয়া ভালো না থাকায় এবছর বেশ কিছুদিন এভারেস্টে ওঠা বন্ধ ছিল। এখন সেই আবহাওয়ার পরিস্থিতি বেশ ভালো। এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাইছেন পর্বতারোহীরা। ফলে হঠাত্ করে ভিড় লেগে গেছে এভারেস্টে ওঠার জন্য। প্রতিবছরই এভারেস্টে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তে থাকায় এখন এভারেস্টে উঠতে ইচ্ছুক পর্বতারোহীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার দাবি তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ এভারেস্টে ওঠার অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে লটারি ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়েছেন। -সিএনএন