মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঢাকায় পুলিশের ওপর হামলার দায় স্বীকার আইএসের

আপডেট : ২৭ মে ২০১৯, ১৩:৫৪

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মালিবাগের মোড়ে পুলিশের একটি গাড়ির কাছে বিস্ফোরণের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।  

গতকাল রবিবার রাতে পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় দায়িত্বরত এক নারী পুলিশ ও রিকশা চালকসহ তিনজন আহত হয়। 

ইসলামিক স্টেট গ্রুপের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, আইএস ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। 

টুইটারে সাইট ইনটেল গ্রুপের অ্যাকাউন্ট থেকে মালিবাগের হামলার দায় স্বীকারের কথা জানিয়ে টুইট করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। সেসময় ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল আইএস।   

এদিকে এ ঘটনার পরপরই গতকাল পুলিশের অপরাধ তদন্ত (সিআইডি) শাখার একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। তারা বোমার ধরন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন এবং কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে সে ব্যাপারেও তথ্য নিচ্ছেন।    

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শিবলি নোমান জানান, রাত নয়টার দিকে পুলিশের একটি গাড়ি মালিবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। পাশেই এএসআই রাশেদা দায়িত্বরত ছিলেন। হঠাত্ ওই গাড়ির কাছে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণের ফলে রাশেদা পায়ে এবং লাল মিয়ার মাথায় আঘাত পান। রাশেদাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর লাল মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এটা নাশকতার ঘটনা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। এটা বোমা নাকি ককটেল সেটাও জানা যায়নি।

অপরদিকে পুলিশের ওই গাড়ির চালক কনস্টেবল শফিক জানান, ফ্লাইওভারের ওপর থেকে কে বা কারা কী যেন ছুঁড়ে মারে। এতে মুহূর্তেই বিকট শব্দ হয় এবং গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এ সময় ওই বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের দালানের গ্লাসও ভেঙ্গে গেছে।

আহত রাশেদা জানান, তিনি রাস্তায় দায়িত্বরত ছিলেন। এ সময় একটি ককটেল তাঁর পাশেই বিস্ফোরিত হয়। এতে তাঁর পায়ে আঘাত লাগে। পাশে পুলিশের গাড়ির পেছনে কিছুটা আগুন ধরে যায়।

আরো পড়ুন: কিমের ‘ছোট অস্ত্রে’ বিরক্ত নই: ট্রাম্প 

আহত রিকশাচালক লাল মিয়া জানান, তাঁর বাসা তেজকুনিপাড়ায়। রিকশা নিয়ে মালিবাগ মোড়ে বসেছিলেন। এমন সময়ে বিস্ফোরণ হয়। এতে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তবে কাউকে তিনি দেখেননি।

ইত্তেফাক/এসআর