শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এভারেস্টে কেন এত আরোহীর মৃত্যু হয়

আপডেট : ২৯ মে ২০১৯, ০১:৫৪

গত দুই দশকের হিসেবে দেখা যায় হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করতে গিয়ে প্রতি বছর গড়ে ছয়জন আরোহী মারা যায়। এ বছর শুধু বসন্ত মওসুমেই ১০ আরোহীর মৃত্যু হয়েছে কিংবা নিখোঁজ হয়ে গেছেন। এবারও রেকর্ড সংখ্যক আরোহীকে এভারেস্টে ওঠার অনুমতি দিয়েছে নেপাল সরকার। তাদের সংখ্যা ৩৮১।

হিমালয়ে আরোহণে কেন এত মৃত্যু হচ্ছে তার একটি বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি। তাদের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়া আরোহীদের মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ। পরের কারণটি হচ্ছে ভিড় সামলানোর অব্যবস্থাপনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরোহীরা যখন পরের ধাপে রওনা হয় তখনই ঝামেলা তৈরি হয়। যেমন গত ২৩শে মে ২৫০ জনেরও বেশি আরোহী চূড়ার অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে। তখন এতোই হুড়োহুড়ি লেগে যায় যে ওঠা ও নামার পথে আরোহীদের চূড়ার নিচের ক্যাম্পে কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হয়। অনেকেই ততোক্ষণে ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং তাদের সিলিন্ডারের অক্সিজেনও ফুরিয়ে যেতে শুরু করে।

এর পরের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে অনভিজ্ঞতাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই সঙ্গে অনভিজ্ঞ আরোহীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এবার কোন কোন দলের সঙ্গে ছিল একজন মাত্র শেরপা গাইড। যখন কোন আরোহী বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন তখন একজন শেরপা তাকে খুব বেশি সাহায্য করতে পারবে না। কারণ নিজেকেও তো বাঁচাতে হবে। নতুন আরোহীরা খুব দ্রুত ওপরে উঠেই নেমে যেতে চান। এতে অনেক সময় তাদের জীবন সংকটে পড়ে যায়। 

আরও পড়ুন: নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়েই পরীক্ষায় বসে তিন সহপাঠী

অন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণটি হচ্ছে, অপারেটরদের মধ্যকার প্রতিযোগিতা। এভারেস্টে আরোহণের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন কিছু অপারেটরও। তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। নতুন অপারেটররা আরোহীদের কাছ থেকে কম অর্থ নিচ্ছেন। এই প্রতিযোগিতার কারণে পুরনো অনেক প্রতিষ্ঠানও তাদের ফি কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছেন। এর ফলে এসব সংস্থা অনভিজ্ঞ লোকজনকে নিয়োগ দিচ্ছে গাইড হিসেবে। ফলে খারাপ পরিস্থিতিতে তারা আসলে তাদের মক্কেলকে খুব একটা সহযোগিতা করতে পারে না। অপারেটররাও এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন।

বিবিসি।

ইত্তেফাক/নূহু