শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তাবরেজকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুঃখ পেয়েছি: মোদি

আপডেট : ২৬ জুন ২০১৯, ২১:৩৮

গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনির ফলে ২৪ বছরের মুসলিম যুবক তাবরেজ আনসারির মৃত্যুর ঘটনা  তাঁকে “দুঃখ” দিয়েছে বলে জানালেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি শাসিত রাজ্যটিকে “গণপিটুনির কেন্দ্র” বলা ভুল হবে, একথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। এনডিটিভি।

মোদি বলেন, ঝাড়খণ্ডই হোক বা পশ্চিমবঙ্গ বা কেরালাই হোক, যেখানেই এই ধরণের ঘটনা ঘটবে সেখানেই কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। এই ধরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পক্ষেই মত দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।গোটা দেশই নিশ্চয়ই তাঁর এই মতের সঙ্গে একমত হবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ ঝাড়খন্ডে তাবরেজ আনসারি গত ১৮ জুন নির্যাতিত হওয়ার পর ২২জুন মারা যান। আনসারির বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগ এনে গণপিটুনি দেয়া হয়। গণপিটুনির বহু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

 ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি তাবরেজকে একটি কাঠের লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে পেটাচ্ছেন। আক্রান্ত যুবক ছেড়ে দেওয়ার আকুতি নিয়ে হাত জোড় করলেও তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই ওই ব্যক্তির।

আর একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জোর করে তাবরেজকে বলানো হচ্ছে 'জয় শ্রী রাম' ও 'জয় হনুমান'।

তাবরেজের আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন, তাবরেজের সঠিক চিকিৎসার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করলেও লাভ হয়নি। এমনকী, তার সঙ্গে কাউকে দেখাও করতে দেওয়া হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বহু আগেই তিনি মারা গিয়েছিলেন তাবরেজ, এই অভিযোগও করা হয়েছে।

বিবিসি'কে তার স্ত্রী শাহিস্তা পারভিন জানান, আনসারিকে সারারাত একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা হয় এবং পরদিন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তাবরেজের স্ত্রী আরো দাবি করেছেন, ‘ওকে নির্দয়ের মতো মারা হয়েছে কারণ ও মুসলিম। আমার কেউ নেই। কোনও শ্বশুর-শাশুড়িও নেই। আমি কী করে বাঁচব? আমার ন্যায়বিচার চাই।’

আরও পড়ুনঃ নাস্তিকের সংখ্যা বাড়ছে আরব দেশগুলোতে: জরিপ

এ ঘটনায় ভারত জুড়ে ক্ষোভের প্রকাশ দেখা দিয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরাও।

ইত্তেফাক/এসআর