শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

হংকংয়ের পার্লামেন্টে হামলাকারীরা আইনের শাসন লঙ্ঘন করেছে: চীন

আপডেট : ০৩ জুলাই ২০১৯, ০৮:২০

হংকংয়ের পার্লামেন্টে ভাঙচুর চালানো বিক্ষোভকারীরা ‘আইনের শাসনকে পদদলিত’ করে এমন ‘গুরুতর অবৈধ তত্পরতার’ জন্য দায়ী, এই অভিযোগ করেছে চীন। এদিকে ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। বিবিসি, রয়টার্স। 

ব্রিটিশদের কাছ থেকে চীনের হাতে হংকং হস্তান্তরের ২২ বছর পূর্তির দিনে শহরটির একদল বিক্ষোভকারী অঞ্চলটির আইন পরিষদ কয়েক ঘণ্টা দখলে রেখে সেখানে ভাঙচুর চালায়। এ সহিংস ঘটনার তদন্ত করতে হংকং কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে চীন। এমনকী তারা এটাকে হংকংয়ে চীনা শাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করছে। চীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ভাঙচুরের ঘটনা ‘এক দেশ, দুই নীতির’ বিরুদ্ধে একটি ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ।

এদিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পার্লামেন্ট দখলমুক্ত করার পর মঙ্গলবার ভোররাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষোভকারীদের সহিংস আচরণের তীব্র নিন্দা জানান চীনপন্থি প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম। তিনি এই ঘটনাকে ‘সহিংসতার চরম ব্যবহার’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার লো ওয়াই চুংকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আইন পরিষদে ঢুকে পড়ার ঘটনাটি এমন একটি ঘটনা জোরালোভাবে যার নিন্দা করা উচিত আমাদের, কারণ হংকংয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই আর হতে পারে না।’

১৯৯৭ সালের ১ জুলাই যুক্তরাজ্য হংকংকে চীনের হাতে হস্তান্তর করে। প্রতি বছর এদিন গণতন্ত্রপন্থিরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে। বিতর্কিত বহিঃসমর্পণ বিল নিয়ে কয়েক সপ্তাহের অস্থিরতায় এবার বর্ষপূর্তির দিনটি ঘিরে আগে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত সোমবার রাতে সহিংস বিক্ষোভকারীরা আইন পরিষদের কেন্দ্রীয় অংশে হংকংয়ের প্রতীকটি নষ্ট করে দেয়, ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলের পতাকা উত্তোলন করে এবং দেয়ালজুড়ে স্প্রে দিয়ে বিভিন্ন বার্তা লেখে এবং ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত বিলটি পাস হলে তা দিয়ে ভিন্নমতের রাজনীতিকদের আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকং থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডে বিচারের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব হতো বলে আশঙ্কা সমালোচকদের। তীব্র বিক্ষোভের মুখে গত মাসে সরকার ওই বিল পাশের পরিকল্পনা স্থগিত করার পর বিলটি আর উত্থাপন করা হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা সরকারের এ পদক্ষেপেও সন্তুষ্ট নয়। তারা বিলটি বাতিলের ঘোষণার পাশাপাশি শীর্ষ নির্বাহী ক্যারি লামের পদত্যাগেরও দাবি জানিয়ে আসছে।

ইত্তেফাক/এসআর