ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখছে চীন। বুধবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানেই এ কথা জানান শি জিংপিং। একইসঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন। চীনভিত্তিক সংবাদসংস্থা জিনহুয়া এই তথ্য দিয়েছে।
সাক্ষাৎকালে জিংপিং ইমরানকে জানান, কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক সে সম্পর্কে তিনি পরিষ্কারভাবে অবগত আছেন। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'ভারত ও পাকিস্তান উভয়পক্ষকেই শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে নিতে হবে।'
৫ আগষ্ট ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল ঘোষনা করার মাধ্যমে কাশ্মীরের 'বিশেষ মর্যাদা' কেড়ে নেয়। এর ফলে ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পরও বহু বছর ধরে ভোগ করে আসা স্বায়ত্বশাসনের অধিকার হারায় রাজ্যটি। সেইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভাগ করে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটিকে ঘিরে।
এদিকে সপ্তাহের শেষ দিকে অনানুষ্ঠানিক একটি সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য চেন্নাই সফরে যাওয়ার কথা চীনের প্রেসিডেন্টের। এ বিষয়ে চীন সরকারের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠেয় অনানুষ্ঠানিক এই সম্মেলনে দুদেশের (ভারত ও চীনের) প্রধান মুখোমুখি বসতে যাচ্ছেন। এর ফলে চীন-ভারত পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হবে। মোদি ও জিংপিং দু'দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।'
আরও পড়ুনঃ উন্নয়নের সঙ্গে দুর্নীতিও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে: রাষ্ট্রপতি
শি জিংপিংয়ের চেন্নাই সফরকে সামনে রেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন সরকার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং মঙ্গলবার ইমরানের সাথে দেখা করে বলেন, চীন সবসময়ই পাকিস্তানের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে তাদের পক্ষে কাজ করবে।
ইত্তেফাক/এসএইচএম