মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সরু জলপথে সবচেয়ে বড় ক্রুজ হিসেবে ব্রিমারের রেকর্ড

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:১৯

সারাবিশ্বের অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য সুখবর দিয়েছে ফ্রেড ওলসেন ক্রুজ কোম্পানী। ক্রুজপ্রেমীরা দারুণ শ্বাসরুদ্ধকর এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন তাদের ক্রজে চড়ে করিন্থ খাল অতিক্রম করতে গিয়ে। পৃথিবীর সরুতম খালগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে বিবেচিত হয় গ্রীসের করিন্থিয়া। ১৮৯৩ সাল থেকে এ পথে নৌ-চলাচল শুরু হলেও মাত্র ২৫ মিটার প্রস্থের এই পথ দিয়ে খুব বেশি বড় আকারের নৌকা যাতায়াত করে না। কিন্তু সম্প্রতি ১২৭ বছরের এ ধারা ভেঙেছে ফ্রেড ওলসেন। সরু এই পথ দিয়ে ২২.৫ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট একটি ক্রুজ তারা প্রবেশ করিয়েছে তারা।

নতুন এই ক্রুজটি ফ্রেড ওলসেনের ব্রিমার সিরিজের এক্সক্লুসিভ একটি ক্রুজ। ৯২৯ জন যাত্রী বহন করতে পারে বিশাল ক্রুজটি। এছাড়া এতে যাত্রীদের অবকাশ যাপনের জন্য দুটি সুইমিং পুলও রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে পুরো জাহাজটির ওজন প্রায় ২৪,৩৪৪ টন এবং দৈর্ঘ্য ১৯৫.৮২ মিটার।

গত সপ্তাহের বুধবার কোম্পানীর পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, 'আজ ব্রিমার সবচেয়ে বড় জাহাজ হিসেবে করিন্থ খালে ঢোকার রেকর্ড গড়লো!'

প্রায় ৪ মাইলের সরু করিন্থ খালটি ইতালি থেকে এথেন্সে যাতায়াতের 'শর্টকাট ওয়ে' বলে গণ্য হয়ে থাকে। ১৮৯৩ সাল থেকে জলপথটি বহুল ব্যবহৃত হলেও এতদিন পর্যন্ত বড় আকারের কোন জাহাজ সেপথ দিয়ে ঢোকার কথা চিন্তাই করা যেত না। কিন্তু গত বুধবার ১২৭ বছরের রেকর্ড ভাঙলো ফ্রেড ওলসেন ক্রুজ লাইনার।

আরও পড়ুনঃ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি নজির সরকারের বড় সাফল্য: আইনমন্ত্রী

কোম্পানীর পক্ষ থেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলা হয়, 'ফ্রেড ওলসেনের ১৭১ বছরের ইতিহাসে এই নতুন যাত্রা একটি বড় মাইলফলক এবং অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। আমাদের অতিথিদের এই খবর জানাতে পেরে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিতবোধ করছি।'

কোম্পানীটির প্রোডাক্ট এন্ড কাস্টমার সার্ভিস প্রধান ক্লেয়ার উড বলেন, 'ফ্রেড ওলসেন সবসময় তার ক্রেতাদের জন্য এমন স্মৃতি তৈরি করতে চায়, যা তারা আজীবন মনে রাখবে। আমাদের নতুন ব্রিমারে করিন্থ অতিক্রম করার মূহুর্তে যাত্রীরা খালের একদম পাশ ঘেঁষে যাবেন। চাইলে তারা পাশের পাহাড়ের গা ছুঁয়েও দেখতে পারবেন। আমাদের বিশ্বাস, যারাই ছুটি কাটানোর জন্য আমাদের সাথে করিন্থ যাত্রা করবেন, কোনদিন তারা এ অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবেন না।'  

ইত্তেফাক/এসএইচএম