শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অজ্ঞান করে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার চিকিৎসক

আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৩৭

এক তরুণীকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের পাশাপাশি ব্ল্যাকমেইলসহ অন্যান্য অভিযোগও উঠেছে বংশরাজ দ্বিবেদী নামে ঐ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কোলাকাতা২৪-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে তিনি প্রথমবার ওই চিকিৎসকের ক্লিনিকে যান। তার অভিযোগ, ঐ বছরেরই মে মাসে তিনি যখন চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যান, তখন তাকে একটি ইনজেকশন দেন ওই ডাক্তার। এরপর মিনিট ৪৫ তার জ্ঞান ছিল না বলে দাবি করেন নির্যাতিতা। ঘটনার পর বাড়ি ফিরে আসতেই মোবাইলে একটি ভিডিও পান তিনি, যেখানে তার অশ্লীল ভিডিও ছিল। পুলিশের কাছে ওই নির্যাতিতা দাবি করেন, এরপর বেশ কয়েকবার ঐ চিকিৎসক জোর করে, ব্ল্যাকমেইল করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।

আরো পড়ুন: বন্ধুকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে যাচ্ছেন সাবিলা নূর

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই ঘটনার কথা ফাঁস করলে ফল খারাপ হবে বলে হুমকিও দেন চিকিৎসক। এরপর বেশ কয়েক বছর ব্ল্যাকমেইলিং-এর শিকার করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন ডাক্তার। ২০১৮-এর ডিসেম্বরে তরুণী বিয়ে করেন এবং ঐ চিকিৎসকের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। কিন্তু এরপরেও ফের চিকিৎসক তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং হুমকি দেন। তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হলে তিনি ভিডিও ছড়িয়ে দেবেন।

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে সেই চিকিৎসক তাকে ব্ল্যাকমেল করতে উদ্যত হয়। সেই ভিডিও ক্লিপটি তার স্বামীর ফোনে পাঠিয়ে দেন। ভিডিও পেয়ে স্বামী যখন স্ত্রীর কাছে সব জানতে চান, তখন এই ব্ল্যাকমেইলিং, ধর্ষণসহ পুরো ঘটনা খুলে বলেন তিনি। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় দম্পতি। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। 

মুম্বাই পুলিশ বলছে, বংশরাজ দ্বিবেদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।

ইত্তেফাক/জেডএইচ