মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ছাত্ররাজনীতির জন্য জেল খেটেছিলেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:৫১

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল রান্না করতে পারেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও তার যাতায়াত অবাধ। পুরস্কার প্রাপক হিসেবে তার নাম ঘোষণা হতেই এমন নানা খবর সামনে আসছিল। এবার উঠে আসলো আরো চমকপ্রদ তথ্য। ছাত্রজীবনে ১০ দিন তিহার জেলে কাটাতে হয়েছিল তাকে। এই তথ্য অভিজিৎই ২০১৬ সালে জানিয়েছিলেন এক মিডিয়াকে।

 

 

১৯৮৩ সাল ছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজিতের শেষ বছর। ঐ বছর ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্টকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে উপাচার্যকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করেন অভিজিৎরা। সেই কারণেই তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় তিহার জেলে। ১৯৮৩ সালের ঘটনাটির সঙ্গে মিল পাওয়া যাবে ২০১৬ সালের উত্তাল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছবির।

আরো পড়ুন : দ্রুত ব্রেক্সিট চুক্তির আশা ব্রিটেনের

অভিজিৎ বিনায়ক সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখেন, ‘আমাদের রীতিমতো পেটানো হয়েছিল। তারপর তিহার জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল আমাদের নামে। এমনকি খুনের চেষ্টার ধারাতেও মামলা দেওয়া হয়। ঈশ্বরের কৃপায় পরে সেই ধারা তুলে নেয় পুলিশ। কিন্তু ১০টা দিন তিহার জেলেই রাত্রিবাস করতে হয়েছিল।

 

২০১৬ সালের জেএনইউতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল তাই নিয়েই ছিল অভিজিতের ওই কলাম। নিজের লেখায় অতীত তুলে এনে এই ধরনের ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রের গা-জোয়ারি’ বলেও উল্লেখ করেন অভিজিৎ বিনায়ক। তার মতে, ১৯৮৩ বা ২০১৬ দু’বারই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সুরক্ষিত পরিসর আর নিরাপদ থাকেনি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের ফলে। - আনন্দবাজার পত্রিকা

 

ইত্তেফাক/ইউবি