একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি গ্রামবাসী। তাই শাস্তিস্বরূপ বেধড়ক মারধরের পর বিবস্ত্র করে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়েছে তাকে। বর্তমানে থানায় রয়েছেন তিনি। ভারতের নানুর থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই ধরণের বর্বরতার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শিউড়ে উঠছেন সকলে।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকবছর আগে। স্বামী, সন্তানদের নিয়ে নানুর থানা এলাকায় থাকতেন ওই মহিলা। ২০১১ সালে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর স্বামী ও দুই সন্তানকে রেখে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছাড়েন। বছর খানেক ওই যুবকের সঙ্গে থাকার পর ফের গ্রামে ফিরে আসেন। নতুন করে শুরু হয় সংসার। সেই থেকে স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল সবকিছু। সমস্যা শুরু হয় কিছুদিন আগে। পুনরায় এলাকার এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করে ওই মহিলার। সেই সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামে কানাঘুষো শুরু হয়। এরপরই আয়োজন করা হয় সালিশি সভার। সেই সালিশি সভায় তাকে বিবস্ত্র করে মারধরের নিদান দেওয়া হয়। নিদান মেনে মহিলাকে মারধর শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা। কার্যত বিবস্ত্র করে তাকে ঘোরানো হয় গোটা গ্রাম।
আরো পড়ুন: সুদের টাকা চেয়ে প্রাণনাশের হুমকি, ইমামের লাশ উদ্ধার
পালিয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন ওই নারী। এরপর খবর পেয়ে নানুর থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। বর্তমানে খুঁজুটিপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে ওই নারীকে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই ধরণের বর্বরতার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শিউড়ে উঠছেন সকলে।
নানুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন। দ্রুতই ঘটনার তদন্ত শুরু হবে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে। তবে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। মহিলার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
ইত্তেফাক/বিএএফ