শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জম্মু ও কাশ্মীরকে অশান্ত করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ভারতের সেনাপ্রধান

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৪৪

জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে, আর সেই অশান্তি ছড়াতে সন্ত্রাসবাদীদের ‘নেপথ্য থেকে কেউ’ মদত দেওয়ার চেষ্টা করছে, বললেন ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।

জেনারেল রাওয়াত বলেন, কেন্দ্র ঐ রাজ্যের বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদীরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দাদের হাতে তথ্য এসেছে। ‘ধীরে ধীরে উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে, তবে স্পষ্টতই কেউ পর্দার আড়াল থেকে কাজ করছে, যারা সন্ত্রাসবাদী ও তাদের গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিচ্ছে অশান্তি ছড়ানোর জন্যে। এই মদত কখনো আসছে পাকিস্তানের অভ্যন্তর থেকে আবার কখনো আসছে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের বাইরে থেকে। তারা লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের শান্ত পরিবেশকে ব্যাহত করার জন্য’, —জেনারেল রাওয়াতের বক্তব্য তুলে ধরেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।

তিনি আরো বলেন, ‘বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পরে (জম্মু ও কাশ্মীর), আমরা বারবার এই ধরনের তথ্য পাচ্ছি যে, সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা এই দেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।’

সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ করানোর জন্যেই রবিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনার চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এরপরেই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত তিনটি সন্ত্রাসবাদী শিবির ধ্বংস করে দেয়।

সেনাবাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৬ থেকে ১০ জন পাকিস্তানি সৈন্য এবং সমসংখ্যক সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে, বলেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। ‘আমরা যে রিপোর্ট পাচ্ছি তার ভিত্তিতে জানাই যে, ৬ থেকে ১০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে, তিনটি সন্ত্রাসবাদী শিবিরও ধ্বংস হয়েছে। একই সংখ্যক সন্ত্রাসবাদীও নিহত হয়েছে,’ সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।

গত ৫ আগস্ট সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে কেন্দ্র জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আগাম সতর্কতা হিসেবে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় উপত্যকার টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

কেন্দ্র জানিয়েছে যে, ধীরে ধীরে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে, সেখান থেকে পোস্ট-পেইড মোবাইল পরিষেবাগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সেগুলিকে চালু করা হয়।

ইত্তেফাক/এসআর