মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারত অভিজিতের জন্য গর্বিত: নরেন্দ্র মোদি

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০১৯, ২২:৪২

চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সাক্ষাৎ পরবর্তী এক টুইট বার্তায় অভিজিতের প্রশংসা করে মোদি বলেন, ‘তার জন্য ভারত গর্বিত’। যদিও অভিজিৎ নোবেল পাওয়ার পর তার নীতিনির্ধারণ বিষয়ে বিজেপি সরকারের মন্ত্রীসহ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। খবর এনডিটিভির। 

মঙ্গলবার সাক্ষাতের পর সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম টুইটারে দুজনের ছবি প্রকাশ করে মোদি বলেন, ‘নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুর্দান্ত সাক্ষাৎ হলো। মানব ক্ষমতায়নের প্রতি তার অনুরাগ স্পষ্ট। বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের প্রাণবন্ত ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভারত তার কৃতিত্বের জন্য গর্বিত। তার ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানাই’।

আরও পড়ুন: আজকের তরুণদের দেখে আমি গর্বিত: সজীব ওয়াজেদ

অভিজিত নোবেল পাওয়ার পরও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। অভিজিৎ এর আগে সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তিনি কিছুদিন সেখানে কাজ করেছিলেন এবং সেখানে তার কাজের অভিজ্ঞতাও ভাল। 

তবে, অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের ঘোষণায় অভিজিতের নাম আসার পর নরেন্দ্র মোদির তাকে অভিনন্দন জানাতে কালক্ষেপণ, পরবর্তীতে সাদামাটা অভিনন্দন বার্তা এবং বিজেপির প্রথম সারির কয়েকজন নেতা অভিজিতের দারিদ্র বিমোচন সংক্রান্ত চিন্তাভাবনার সমালোচনা করার পর বিতর্ক শুরু হয়। 

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুজ গয়াল এই নোবেল বিজয়ীকে বামপন্থী বলে অভিহিত করে বলেন, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানাই। তবে ভারতের মানুষ তার চিন্তাভাবনাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। অভিজিতের দারিদ্র বিমোচনের টোটকা ভারতের প্রেক্ষাপটে অচল বলে বিজেপির নেতারা অভিযোগ করেন। তবে মঙ্গলবার মোদি ও অভিজিতের সাক্ষাতের পর সকল বিতর্কের আপাতত অবসান হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে দারিদ্র বিমোচনে পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে সম্মিলিতভাবে নোবেল পুরস্কার পান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, তার স্ত্রী এস্থার দুফলো এবং মাইকেল ক্রেমার। 

ইত্তেফাক/এসইউ