মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে চলতি মাসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়ে বাস্তচ্যুতদের জন্য বিশেষ বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা দাবিটি ঐ সম্মেলনে যথাযথভাবে তুলে ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার ‘জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সম্মেলন: নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা এই আহ্বান জানান। কোস্ট ফাউন্ডেশন এবং স্থায়িত্বশীল পল্লী জীবন-জীবিকার জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএল), ক্লিন-বিডি, বিআইপিএনইটি-সিসিবিডি, সিপিআরডি যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি বহুপাক্ষিক উদ্যোগ নেওয়ার সম্ভাবনা যাচাইয়ের অংশ হিসেবেই জো বাইডেন এই শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বড় কার্বন নির্গমনকারীদের জন্য আমাদের ১.৫ ডিগ্রি সীমা বেধে দিতে হবে এবং এই লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে পূরণের কর্মসূচি দিতে হবে। তিনি লক্ষ্যপূরণের জন্য উপযুক্ত সময়সীমা নির্ধারণকেও গুরুত্ব দেন।
সভাপতির বক্তব্যে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ বলেন, অতিবিপদাপন্ন দেশগুলোর জন্য অর্থায়নের ক্ষেত্রে জিসিএফ-এর দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে অভিযোজনের জন্য অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তার দাবি জানাতে হবে।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, বিসিএএস-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব মনজুরুল হান্নান। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সৈয়দ আমিনুল হক। কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তা, সিপিআরডি-এর নির্বাহী পরিচালক শামসুদ্দোহা, বিপনেট-সিসিবিডি-এর মৃণাল কান্তি ত্রিপুরা, ক্লিন-বিডি-এর হাসান মেহেদি এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট জার্নালিস্ট ফোরামের কাওসার রহমান।
