শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আদ্যোপান্ত

আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২১, ২০:২১

জিএম ইমরান, শাবিপ্রবি

 

প্রথমবারের মতো ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হতে যাচ্ছে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা। প্রথমবারের মতো হওয়ায় অনেকের কাছে এ পরীক্ষা সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা। তবে, পরীক্ষার্থীদের মাঝে একটি সাধারণ ধারণা দিতে গুচ্ছপদ্ধতি সম্পর্কে বলেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও

প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসান।

প্রথমেই আসি গুচ্ছ পদ্ধতি কী? শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য এ বিষয়ে তাহমিদ হাসান বলেন, এবছর থেকে বাংলাদেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় একত্র হয়ে একটি নতুন সিস্টেমে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে, এই একটা পরীক্ষা দিলেই ঐ ১৯টা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া হয়ে যাবে। এই পরীক্ষাতে কোনো পাশ ফেল থাকবে না, সবাইকে ০-১০০ নম্বরের মধ্যে মার্ক পাবে। বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নম্বরের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করবে। এটাই হলো গুচ্ছ পদ্ধতি।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের সুবিধা কী? এ বিষয়ে তার মতামত হলো,

১) আলাদা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা টেকনিক অনুসরণ, কোচিং সেন্টার ভর্তি এসব বিষয় অনেকটা পরিবর্তন হতে চলেছে।

২) ভর্তিযুদ্ধ করতে নিজের অস্ত্র নিয়ে সারাবাংলা ভ্রমণ একটু হলেও বদলাতে চলেছে।

৩) সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যদি র্যাংকিং না করে সমান দৃষ্টিতে দেখা হয় তবে চাকুরিক্ষেত্রে আর বিভ্রান্তির সৃষ্টি হবে না।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে এ পদ্ধতির অসুবিধা কি নাই? এ বিষয়ে তাহমিদ হাসান বলেন, অবশ্যই আছে। সেগুলো হলো:

১) কোনো ছোট্ট ভুলের কারণে একটি ছেলের ১২ টি বছরের স্বপ্ন ধূসর হয়ে যাবে।

২) সেকেন্ড টাইমারদের জন্য বিষয়টা অনেকটা চাপের হয়ে দাঁড়াবে।

৩) কঠোর ব্যবস্থা না নিলে প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

৪) ভর্তিযুদ্ধের নাম দিয়ে দেশ ভ্রমণের সুযোগ এবার অনেকেই আর পাবে না ।

৫) যারা ছোট থেকে স্বপ্ন দেখে আসছেন অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন, এখনই সময় আরো ভেবে দেখার।

৬) পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র কাটা হয় কিছু ক্ষেত্রে ভেজাল, বৈষম্য এর মাধ্যমে। যেহেতু ভর্তি পরীক্ষাও একটি পাবলিক পরীক্ষা হতে যাচ্ছে, তো ভর্তি পরীক্ষাতেও হতে পারে পাবলিক পরীক্ষার এইসব গুণাগুণ হয়ত অক্ষুন্ন থাকবে।

৭) পরীক্ষা খারাপ দিলে হাতে খুব  বেশি অপশন থাকবে না সুতরাং মনোবলে ফাটল ধরাটা স্বাভাবিক।

৮) অনেক কেন্দ্রে হয়ত নরমাল গার্ড দেওয়ার ফলে দেখাদেখি করে অনেক অযোগ্য শিক্ষার্থী চান্স পেয়ে যাবে।

                পরের অংশ আগামীকাল