সংসদ সদস্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, অভিনয়শিল্পী ও আবৃত্তিশিল্পী আসাদুজ্জামান নূর আগামীকাল রবিবার (৩১ অক্টোবর) ৭৫ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছেন। জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রবিবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘তোমারি হোক জয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে ‘আসাদুজ্জামান নূর জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
এছাড়াও আবৃত্তিকর্মী, নাট্যকর্মী, সঙ্গীতশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীসহ সংস্কৃতির সব শাখার মানুষ অংশ করবেন।
১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর নীলফামারী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন আসাদুজ্জামান নূর। তার বাবা আবু নাজিম মো. আলী এবং মাতা আমিনা বেগম। দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে আসাদুজ্জামান নূর সবার বড়। ছাত্রাবস্থায় জড়িয়ে পড়েন বাম রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৬২ সালে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে সব আন্দোলনে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আসাদুজ্জামান নূর মুক্তিযুদ্ধে ৬ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন তিনি। ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি তিনি জড়িয়ে পড়েন থিয়েটার ও আবৃত্তি চর্চায়। পরে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে পান তুমুল জনপ্রিয়তা। হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘এই সব দিনরাত্রির শফিক’ কিংবা ‘অয়োময়’ এর ছোট মীর্জা চরিত্রে অভিনয় করে লাখো দর্শক-শ্রোতার প্রশংসা ও ভালোবাসা পেয়েছেন। তবে কিংবদন্তি হয়ে আছেন ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে বাকের ভাই চরিত্রে অভিনয় করে।
আসাদুজ্জামান নূর নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য ছাড়াও বর্তমানে তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।