শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

টাঙ্গাইলে বউ-শাশুড়িসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৪১

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের কাশতলা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে দুই নারীসহ তিনজনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। আজ শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন, গৃহবধূ সুমী বেগম (২৫), তার শাশুড়ি জমেলা খাতুন (৬০) এবং শাহজালাল (৩০)। এ ঘটনায় সুমীর ছেলে শাফিকে (৪) মুমূর্ষূ অবস্থায় প্রথমে কালিহাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং পরে আশংকাজনক অবস্থায় টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সুমীর স্বামী জয়েন উদ্দীন সৌদি আরব প্রবাসী। ঘাটাইল থানার ওসি মো. আজহারল ইসলাম সরকার পিপিএম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত জমেলার আরেক পুত্রবধূ শাহনাজ বেগম জানান, সুমী প্রতিদিনের মতো গত রাত্রে শাশুড়ি ও তার ৪ বছরের ছেলে সাফিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ সকালে তার জাকে ঘুম থেকে ওঠতে দেড়ি দেখে তিনি ঘরের দরজায় কড়া নাড়েন। ভেতর থেকে তাদের কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় তিনি বাড়ির অন্যান্যদের ডেকে আনেন এবং দরজা খোলতে বলেন। কিন্তু ভেতর থেকে দরজাটি বন্ধ থাকা এবং কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। খাটের উপর সুমী ও অজ্ঞাত এক যুবক এবং মেঝেতে তার শাশুড়ির রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তারা সুমীর চার বছরের ছেলে শাফিকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘাটাইল থানা পুলিশ এবং র‌্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশের পাশে শ্যালো মেশিনের হ্যান্ডেল, রেঞ্জ, স্লাই এবং রড পড়ে থাকতে দেখা যায়।

নিহত জমেলা খাতুনের ভাই জামির আলী জানান, সুমীর স্বামী জয়েন উদ্দিন সৌদিআরব এবং ভাসুর জয়নাল আবেদীন কুয়েত প্রবাসী। উভয় ভাইয়ের পরিবার পাশাপাশি বাড়িতে থাকেন।

এদিকে সুমীর বাসায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ পাওয়ায় ঘটনার রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা কেউ কেউ জানান, সুমীর সঙ্গে কালিহাতীর সাতুটিয়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালালের (৩২) প্রেমের সর্ম্পক ছিল এবং সুমির বাসায় মাঝে মধ্যে আসা যাওয়া করতেন। তবে কে বা কারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত কেউ বলতে পারছে না। তবে প্রেম ঘটিত সম্পর্কের কারণেই ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারনা।

ঘাটাইল থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র‌্যাবের উধ্বর্তন কর্মকতারা আছেন। সুপরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। ঘটনার জোর তদন্ত চলছে।

ইত্তেফাক/কেকে