টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার পরও পাকিস্তান ও পুরো ক্রিকেট বিশ্বের কাছে এখন ‘হিরো’ এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। এ উপাধি তিনি পাবেন না-ই বা কেন, সেমিফাইনালের আগে পাকিস্তানি ওপেনার যে দুইদিন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সেখান থেকে ফিরে এমন ইনিংস খেলা চাট্টিখানি কথা নয়। এমনকি ম্যাচ চলাকালীন অজি পেসার মিচেল স্টার্কের এক গতিময় বাউন্সারে মুখে প্রচন্ড আঘাত পান। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে সেটি নিয়েই বাকিটা সময় ব্যাট করে যান। পরবর্তীতে আউট হওয়ার পর যখন প্যাভিলিয়নের দিকে যাচ্ছিলেন তখন ক্যামেরায় স্পষ্ট দেখা গেছে, রিজওয়ানের মুখে (যেখানে আঘাত পেয়েছিলেন) সেই জায়গাটা ফুলে আছে।
ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে দুবাইয়ের মেডিওর হাসপাতালে দুইদিন আইসিইউতে ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেখানে তার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন পালমোনোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ভারতীয় চিকিৎসক সাহির সাইনালাবদিন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কীভাবে এত দ্রুত সুস্থ হয়েছেন রিজওয়ান। আইসিইউতে থাকার সময়ও পাকিস্তানি ব্যাটারের মধ্যে দেশের হয়ে খেলার জন্য যে স্পিরিট ছিল তা রীতিমতো অবাক করেছে ভারতীয় চিকিৎসককে।
সাহির সাইনালাবদিন বলেন, ‘আইসিইউতে রিজওয়ান বারবার তাকে বলেছেন, মুজে খেলনা হে, টিম কে সাথ রেহনা হে (আমি খেলতে চাই, দলের সঙ্গে থাকতে চাই)।’
তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ নকআউট ম্যাচে (সেমিফাইনাল) দেশের হয়ে খেলার জন্য রিজওয়ানের মাঝে তীব্র ইচ্ছাশক্তি ছিল। সে মানসিকভাবে শক্তিশালী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও আত্মবিশ্বাসী ছিল। তার এত দ্রুত সুস্থ হওয়া দেখে আমি বিস্মিত।’
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৩-৫ দিন আগে থেকে রিজওয়ানের জ্বর, কাশি এবং বুকে ব্যাথার মতো সমস্যা ছিল। সাহির সাইনালাবদিন বলেন, ‘সাধারণত এই অবস্থা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে ৫-৭ দিন লেগে যায়। কিন্তু সেমিফাইনাল ম্যাচে আগে তার সুস্থ হওয়া ও ফিটনেস ফিরে পাওয়া অবিশ্বাস্য।’
ইত্তেফাক/টিএ