শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ই-কমার্স খাতের নৈরাজ্য

আদালতের আদেশ অমান্য সহ্য করা হবে না: হাইকোর্ট

আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ২১:৩৮

ই-ভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অর্থ পাচারের বিষয়ে আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। আদালত সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মঙ্গলবারের মধ্যে যেন আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়। যদি এটা না করা হয় তাহলে আমরা এগুলো টলারেট (সহ্য) করব না। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ মন্তব্য করেন।

ই-কমার্স খাতের নৈরাজ্য নিয়ে দায়েরকৃত পৃথক তিনটি রিট আবেদনের উপর গত ২৮ সেপ্টেম্বর আদেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। আদেশে ই-কমার্স খাত থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা আদৌ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা, তা বিএফআইইউকে জানতে বলা হয়েছিলো। সেই সঙ্গে এনবিআরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ই-কর্মাস খাত থেকে কর আদায়ের নীতি কী, আদৌ কোনো নীতি আছে কিনা বা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার পরিকল্পনা। এই খাতের স্বার্থে যে ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটি করেছে সরকার, তার কার্যপরিধি জানতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছিলো।

মঙ্গলবার তিন রিট আবেদনের রুল শুনানির জন্য আসে। শুনানির শুরুতে হাইকোর্ট এই আদেশ প্রতিপালনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলির কাছে জানতে চান। তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, আদালতের আদেশের বিষয়ে নোটিশ জারি হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, নোটিশ জারির পর রেসপন্স করবে না এটা কোনো কথা হলো। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে এটা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে কথা বলেন। আমরা কিন্তু এসব টলারেট করবে না। এনবিআরের থেকে বেশি দরকার হচ্ছে বণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন। মঙ্গলবার শুনানির জন্য রাখা হলো। এর মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

ই-কমার্স খাতের ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তিনটি রিট করা হয়। ওই রিটের প্রেক্ষিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স খাতের অর্থ পাঁচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন চায় আদালত।

আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ প্রথমে বলেছে, নোটিশ (কোর্টের আদেশ) জারি হয়নি। পরে আমরা দেখালাম বিবাদীদের কাছে নোটিশ জারি হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি। যে কারণে আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে এ বিষয়ে সিরিয়াস হতে বলেছেন।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি