ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সাব্বির আহমেদ বর্তমানে ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকসহ বেশ কয়েকটি নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। দর্শকপ্রিয় এই অভিনেতা নিজের কাজ ও ইন্ডাস্ট্রির নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন ইত্তেফাকের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ এম রুবেল
বর্তমান কাজের ব্যস্ততা নিয়ে জানতে চাই-
ব্যস্ততা বলতে, শিগগিরই ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকের শেষ লটের শুটিংয়ে অংশ নেবো। পাশাপাশি ‘স্মৃতির আল্পনা আঁকি’ ধারাবাহিকের কাজ করছি। এছাড়া বিজয় দিবসের একটি একক নাটকসহ বেশ কয়েকটি নাটকের কাজ হাতে রয়েছে।
‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকে আপনার চরিত্র ও শ্যাম বেনেগালের মতো নির্মাতার নিদের্শনায় কাজ প্রসঙ্গে কী বলবেন?
ছবিটিতে আমি বর্ষীয়ান রাতনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের চরিত্রটি রূপায়ণ করছি। আর শুধু শ্যাম বেনেগাল নন, পুরো টিমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাই দারুণ ছিল। এমন একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
ওটিটি নিয়ে সাব্বিরের পরিকল্পনা ও প্রত্যাশার জায়গা কোথায়?
শিল্পী-কলাকুশলীদের জন্য ওটিটি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। ওটিটির কারণে তারকা নির্ভরতা কমছে। কারণ ওটিটিতে তারকা নয়, গল্পটাই মুখ্য। বলতে পারেন, শিল্পীদের কাজের পরিধি বেড়েছে। আমারও পরিকল্পনা আছে, ভালো গল্প-চরিত্র পেলে মানসম্মত কিছু কাজ উপহার দেওয়ার।
কিন্তু ওটিটিতে থ্রিলারধর্মী কাজ বেশি হওয়ায় দর্শক অনিহা তৈরি হবে মনে করেন না?
দেখুন, এটাও এক সময় পরিবর্তন হবে। শুরুতে অশ্লীলতা নিয়ে কথা হওয়ায় সেটা থেকে কিন্তু সবাই সরে এসেছে। দর্শকদের যা দেবেন তারা হয়তো সেটাই দেখবে। কিন্তু দিনশেষে ভালো কাজটির দিকেই তাদের মনোযোগ থাকবে। তখন নির্মাতারাও ভিন্ন ভিন্ন গল্পের দিকে ঝুঁকবেন।
নাটকে অতিরিক্ত ভাঁড়ামো ও কপি প্রবণতাকে কীভাবে দেখছেন?
কিছু মানুষের কাজই কপি করা। এটা আগেও ছিল, এখনো আছে। তবে আমরা যারা মঞ্চ থেকে এসেছি তারা এই জায়গা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। কারণ আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে চাইলেও সব করতে পারি না।
একই ঘরানার শিল্পীকে নিয়ে কাজের ফলে অন্যরা সুযোগ কম পাচ্ছে মনে করছেন না?
হ্যাঁ, অবশ্যই সুযোগ কম পাচ্ছে। চ্যানেলগুলো যদি আগেই ঠিক করে দেয় যে, অমুককে নিয়ে কাজ করতে হবে তাহলে তো এমন হবেই। তাছাড়া ভিউ বেশি থাকা শিল্পীরাই বাজেটের বড় অংশ নিয়ে যাওয়াও একটি কারণ। আমাদের এই জায়গা থেকে সরে আসতে হবে।