শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মুন্সীগঞ্জে ভবনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ভাইবোনের মৃত্যু, বাবা-মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক

আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০২:২০

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরমুক্তারপুরের একটি ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ফাতেমার (৩) এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইয়াসিনের (৬) মৃত্যু হয়। তাদের বাবা ও মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে শহরের চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজনসহ ৫ জন ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হন। অপর দগ্ধ প্রতিবেশী হৃতিকা পালকে (৪) স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

ডাক্তারের বরাত দিয়ে ওসি (তদন্ত) রাজিব খান বলেন, এ ঘটনায় তিন বছরের শিশু ফাতেমা ও তার ৭ বছর বয়সী ভাই ইয়াসিনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া তাদের বাবা ও মা দুই জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। মা শান্তা বেগমের (২৭) শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং বাবা কাওসার খানের (৩৬) ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। দগ্ধ কাওছার খান কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বাসিন্দা আব্দুস সালাম খানের পুত্র। তিনি প্রায় আট বছর ধরে মুন্সীগঞ্জের আবুল খায়ের গ্রুপে ওয়েল্ডার হিসাবে কর্মরত আছেন।

ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে গ্যাস লিকেজ হয়ে কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। শীতের কারণে কক্ষের সব জানালা বন্ধ ছিল। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। সিআইডি পুলিশের সংশ্লিষ্ট টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের সহকারি কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম তুহিন বলেন, গ্যাস লিগেজের কোন প্রমাণ মেলেনি। তবে চুলোর সুইসটা তেমন ভালো না। রান্নার পরে চুলোর গ্যাস বন্ধ না করার কারণেও হতে পারে।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ।

ঢাকা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মোবিলাইজিং অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে, পুঞ্জিভূত গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণটি হতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শী হাজী মজিবুর রহমান খান জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এসে দেখি ৩টি রুমে আগুন। ঘটনার ৪০-৪৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস আসে। তার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে শাহ সিমেন্টে থেকে গাড়ি দিয়ে বেশী দগ্ধ চারজনকে সরাসরি শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

ইত্তেফাক/ইআ