বাল্যবিয়ে বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান হারের লাগাম টেনে ধরতে বাংলাদেশ মানুষের সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তনের জন্য দশটি উপকরণ তৈরি ও উন্মোচন করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন। উপকরণগুলোকে সবার সামনে পরিচিত করাতে এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে সবাইকে স্পষ্ট ধারনা দিতে সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে উপকরণ উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের মতে, উপকরণগুলি সুস্পষ্টভাবে ১০ ধরনের শ্রেণি ও পেশার মানুষকে মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে আছেন মা-বাবা, শিক্ষক, কিশোর-কিশোরী, যুবা, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, পুলিশ, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি। তাদের বিশ্বাস, উপকরণগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে তা বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসহ ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের নেটওর্য়াকভুক্ত বিভিন্ন সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসহ এর নেটওর্য়াকভুক্ত বিভিন্ন সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এই উপকরণগুলো বাল্যবিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে তা ব্যবহারের জন্য আহবান জানায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ভিশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে শুধুমাত্র সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমেই বাল্যবিয়ের মত একটি জটিল সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অ্যাডভোকেসি ও কমিউনিকেশন ডিরেক্টর টনি মাইকেল বলেন, ‘একা যুদ্ধ করে বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবো না । আমরা যদি এক সাথে থেকে যুদ্ধ করি তবেই বাংলাদেশকে বাল্য বিবাহ মুক্ত দেশে পরিণত করতে পারবো। আসুন এই যোগাযোগ উপকরণগুলোকে বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করি এবং এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে দেশকে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত করি।’
অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বাল্যবিবাহের সাম্প্রতিক অবস্থা তুলে ধরেন ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যাডভোকেসি নিশাত সুলতানা। নাটালি ম্যাককাউলি, প্রধান কর্মকর্তা, চাইল্ড প্রোটেকশন, ইউনিসেফ এবং কে এ এম মোর্শেদ, ঊর্ধ্বতন পরিচালক, ব্র্যাক বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। ওয়ার্ল্ড ভিশনের অপারেশনস অ্যান্ড প্রোগ্রাম-এর সিনিয়র ডিরেক্টর- কোয়ালিটি চন্দন জেড গোমেজ সংস্থার পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য রাখেন।