নতুন কোচ রালফ রাংনিকের কৌশল অনুযায়ী খেলতে গিয়ে যেন হাপিয়ে উঠলেন ভিক্টর লিন্ডেলফ। অন্তত ১০ মিনিটের মতো সময়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগেন এই ডিফেন্ডার। হৃদ কম্পনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল। শুধু লিন্ডেলফই নন, রাংনিকের হাই প্রেসিং ফুটবলের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছেন বাকিরাও। পেনাল্টি পেয়েছিল বলে রক্ষা, নইলে টেবিলের লেজে থাকা নরউইচের কাছে লজ্জার ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।
পেনাল্টি থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জয়ের জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে ম্যানইউর স্প্যানিশ গোলকিপার ডেভিড ডে হায়াকেও। তিনি দুর্দান্ত কিছু সেভ না দিলে হারতেও পারতো ইউনাইটেড। এই জয়ের পর ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে তারা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দিনটাই ছিল পেনাল্টিময়। শুরুটা করে টেবিল টপার ম্যানচেস্টার সিটি। স্পট কিক থেকে রহিম স্টার্লিংয়ের একমাত্র গোলে ১০ জনে ওলভসকে হারায় স্বাগতিকরা। প্রিমিয়ার লিগে এটি স্টার্লিংয়ের শততম গোল। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেও যেন স্বস্তিতে নেই পেপ গার্দিওলার দল। হোচট খেলে হারাতে হতে পারে সিংহাসন! এমন সমীকরণ নিয়েই প্রতি ম্যাচে নামতে হচ্ছে তাদের।
এক পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয়তে থাকা লিভারপুলের জয়টি নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ সালাহ। পেনাল্টি থেকে তার একমাত্র গোলে অ্যানফিল্ড থেকে গোমরা মুখ নিয়ে ফিরে যান অলরেড কিংবদন্তী ও বর্তমানে অ্যাস্টন ভিলার কোচ স্টিভেন জেরার্ড।
কিছুদিন আগে সিটিজেনদের কাছে শীর্ষস্থান হারানো চেলসির জয়েও মুখ্য ভূমিকা পালন করে পেনাল্টি। জোড়া পেনাল্টিতে লিডসের বিপক্ষে শেষ মূহূর্তে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় নিশ্চিত করেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনিও। ২৮ মিনিটে স্পটকিক থেকে চেলসিকে পিছিয়ে দেন রাফিনিয়া। তবে বিরতির আগেই ম্যাসন মাউন্টের গোলে সমতায় ফিরে ব্রুজরা। ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান ২-১ করেন জর্জিনিও। ৮৩ মিনিটে দারুণ এক গোলে ম্যাচ জমিয়ে দেন জো গেলহার্ড। নাটক তখনো শেষ হয়নি। অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে চেলসিকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফেরে লিডস।
এদিকে, সিরি আ লিগে শেষ মূহূর্তে উদিনেসের বিপক্ষে এসি মিলানের হার বাঁচিয়েছেন জালাতান ইব্রাহিমোভিচ। ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে ইউরোপের শীর্ষে ৫ লিগে ৩০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। যা আগে করে দেখিয়েছেন মেসি ও রোনালদো।