দাফনের ১৪ দিন পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মোঃ সেলিম হোসেনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার অন্তর্গত বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং খুলনা ও কুমারখালী থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষকের লাশটি উত্তোলন করা হয়। এদিকে কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালের গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অস্বীকৃতিতে এক্সপার্টের মতামতের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী কুয়েট অফিস কক্ষে অধ্যাপক ড. সেলিমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এরপর বাসায় ফিরে ওই শিক্ষক রহস্যজনক ভাবে মারা যান। ছাত্রলীগ নেতা সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে চরম মানসিক নিপীড়ন ও লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় ওই বলে শিক্ষকের পিতাসহ পরিবারের অভিযোগ।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তে গঠিত কুষ্টিয়া ২৫০ শষ্যা বিশিষ্টি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের অপারগতায় এক্সপার্টের মতামতের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।