বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় নিজের সতেরো বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ২৫ হাজার টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এই দণ্ডাদেশ দেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিদ্দিকুর রহমান খান জানান, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ গভীর রাতে বাগেরহাট কচুয়া উপজেলার মাধবকাঠি গ্রামে ঘুমন্ত মেয়ের ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে তার বাবা। ওই রাতে আসামি তার মেয়েকে দুধের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান বলে তার স্ত্রী অভিযোগ করেন।
ধর্ষণের পর রাতেই মেয়েটি তার মাকে ঘটনা খুলে বললে তিনি বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম পরিবারের অভিযোগ পেয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করেন।
ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই বছরের ৩১ ঐ বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বাদী পক্ষের সাতজন ও আসামী পক্ষের তিনজনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিচারক আসামির উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী ইফতেখারুল ইসলাম রানা।