শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই’

আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:২৪

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।

রবিবার (২ জানুয়ারি) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার হিমোগ্লোবিন ওঠানামা করছে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অন্যদিকে আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যা আছেই। বর্তমানে ওষুধ দিয়ে তার রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। মাঝেমধ্যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা বলেন, খালেদা জিয়ার খাবারের রুচি নেই। মাঝেমধ্যে অল্প পরিমাণে সুপ খাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি নিয়মিত দেখাশুনা করছেন।

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ওষুধ দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও মাঝেমধ্যে উনার রক্তক্ষরণ হয়। হিমোগ্লোবিনও মাঝেমধ্যে কমে যাচ্ছে। এরই মধ্যে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই তার খোঁজখবর রাখছেন। মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা দেখছেন। তবে যত তাড়াতাড়ি চেয়ারপারসনকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো যায় ততই মঙ্গল।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি নেই। আগের মতোই আছেন ম্যাডাম। অনেক শুকিয়ে গেছেন তিনি। গতকাল তাকে গোসল করানোর জন্য কেবিনে নেওয়া হয়েছিল। দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। গোসল শেষে তাকে আবারও সিসিইউতে নেওয়া হয়। কারণ সিসিইউতে গোসল করার সুযোগ নেই।

গত ২৮ নভেম্বর গুলশানের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমের সদস্য এফ এম সিদ্দিকী জানান, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। বাংলাদেশের চিকিত্সায় তার পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য অথবা জার্মানির অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা দিলে তিনি সুস্থ হতে পারেন। এজন্য খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই আবেদন পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে দিয়েছে তাকে বিদেশে নেওয়ার আইনি কোনো সুযোগ নেই।

ইত্তেফাক/এমআর