শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

করোনা মোকাবিলা

পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বিধিনিষেধ জারি

আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:০২

ভারতে করোনায় সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। শুধু শনিবারেই আক্রান্ত হয়েছে ২২ হাজার ৭৭৫ জন। আর ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হয়েছে ১৬১ জন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ১৫৩ জন। হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নতুন করে বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে। এই বিধিনিষেধ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

গতকাল রবিবার জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সোমবার ৩ জানুয়ারি থেকে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকবে। যারা এসব প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কাজকর্ম করেন তারা আসতে পারবেন। তবে একসঙ্গে ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। একই নিয়ম রাজ্যের সব সরকারি এবং বেসরকারি অফিসেও চালু থাকবে। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। চলবে না কোনো যানবাহন। জরুরি প্রয়োজনে এই বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া হবে।

রবিবার নবান্নে মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী সাংবাদিকদের বলেন, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি অফিসগুলোর ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি থেকে কাজ করার ওপর জোর দিতে হবে। সুইমিং পুল, স্পা, জিম, বিউটি পার্লার, সেলুনসহ এই ধরনের কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সব ধরনের বিনোদনমূলক পার্ক, চিড়িয়াখানা এবং পর্যটন কেন্দ্রও বন্ধ থাকবে।

শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্সে একসঙ্গে ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি মানুষকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। প্রত্যেককে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরতে হবে। রাত ১০টা পর্যন্ত বার এবং রেস্তোরাঁ খোলা থাকবে। তবে যত বসার ব্যবস্থা রয়েছে একসঙ্গে তার ৫০ শতাংশের বেশি ঢুকতে দেওয়া যাবে না। সিনেমা হল, থিয়েটারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। মিটিং এবং কনফারেন্সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ জন অথবা হলের যত আসন রয়েছে তার ৫০ শতাংশ আসনে বসার আয়োজন করা যাবে। যে কোনো ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হবে না। লোকাল ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও থাকছে বিধিনিষেধ। ৫০ শতাংশ আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলবে।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে কড়াকড়ি: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি এবং মুম্বাই থেকে কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রথম পৃষ্ঠার পর সপ্তাহে দুই দিন বিমান চলাচল করবে। ব্রিটেন থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট কলকাতায় আসতে পারবে না। অন্যান্য দেশ থেকে আসা বিমানের ১০ শতাংশ যাত্রীর আরটিপিসিআর টেস্ট করতে হবে। বাকিদের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। এই পরীক্ষায় কারো রিপোর্ট পজিটিভ হলে সেই যাত্রীর ফের আরটিপিসিআর করতে হবে।

মাস্ক বাধ্যতামূলক: পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক না পরলে সরকার ব্যবস্থা নেবে। বেসরকারি কলকারখানা, চা-বাগানগুলোতে কর্মীদের টিকাকরণ ও কোভিড বিধি মেনে কাজ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইত্তেফাক/এমআর