পাইকগাছার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার। উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, জলাশয় ও চিংড়িঘের থেকে সংঘবদ্ধ শিকারী চক্র মোবাইলে বিদেশী অতিথি পাখির ডাকের অডিও শুনিয়ে প্রলুব্ধ করে নিচে নামিয়ে ফাঁদে ফেলে প্রতিদিন রাতে শিকার করছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
উপজেলার বয়রা, কচুবুনিয়া, বাসাখালী, বাইসারাবাদ, তেঁতুলতলা, লতা, উলুবুনিয়া, পুটিমারী, শংকরদানা, হানিমুনকিয়া, বাহিরবুনিয়া, দেলুটি, সোলাদানা, কপিলমুনি, তালতলা, গোয়ালবাথান, শ্রীফলতলা, প্রতাপকাটি, শামুকপোতা, চকবগুড়া, খড়িয়া, অকাইবাসী, ঠাকুনবাড়ী, আমিরপুর, বাইনবাড়ীয়া, কুমখালী ও পাইকগাছা পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় খাল-বিল, জলাশয় ও চিংড়ি ঘের রয়েছে। প্রজাতিভেদে সকাল অথবা সন্ধ্যা নামতেই বিভিন্ন প্রজাতির এসব অতিথি পাখি দল বেঁধে এসব এলাকায় খাদ্য সংগ্রহে নেমে পড়ে। এ সময় সংশ্লিষ্ট ঘের বা জলাশয়ের কর্মচারীদের যোগসাজসে অথবা শিকারী চক্র আগে থেকেই ওঁত্ পেতে থাকে পাখি শিকারে।
উপজেলার বাতিখালী বনায়ন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জি এম এম আজাহারুল ইসলাম জানান, অতিথি পাখি শিকার বন্ধে মনিটরিংসহ প্রশাসনের ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। পাইকগাছা থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, পাইকগাছা থানা পুলিশ পাখি শিকার বন্ধে সবসময় তত্পর রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি জনসাধারণের সহযোগিতাও কামনা করেন।