নিজস্ব প্ল্যাটফরমে কোভিড মহামারির তথ্যের প্রচারে আগের চেয়ে সতর্ক হয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলো, নীতিমালা কঠোর করে বেড়েছে ভুয়া তথ্য ও মিথ্যাচার ঠেকানোর তত্পরতা। তারই অংশ হিসেবে এবার টুইটারে নিষিদ্ধ হয়েছেন এক মার্কিন কংগ্রেস সদস্য। চার বারের বেশি কোভিড নীতিমালা ভাঙার কারণে জর্জিয়ার কংগ্রেস সদস্য মার্জোরি টেইলর গ্রিনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ‘স্হায়ীভাবে স্হগিত’ করেছে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার।
এই প্রসঙ্গে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জকে টুইটার মুখপাত্র কেটি রোসবরো জানিয়েছেন, প্ল্যাটফরমের কোভিড-১৯ নীতিমালা ‘বারবার ভাঙার’ কারণে ‘স্হায়ীভাবে স্হগিত’ করা হয়েছে গ্রিনের অ্যাকাউন্ট। ‘আমরা আগেই পরিষ্কার বলেছিলাম যে, বারবার নীতিমালা ভাঙলে স্ট্রাইক ব্যবস্হা অনুযায়ী আমরা ঐ অ্যাকাউন্টগুলো স্হায়ীভাবে স্হগিত করব।’ ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে ‘ফাইভ-স্ট্রাইক’ ব্যবস্হা চালু করেছে টু?ইটার। কোভিড-১৯ নিয়ে কোনো পোস্টে ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য থাকলে ঐ অ্যাকাউন্ট লক করে দেয় সাইটটি। যত বার অ্যাকাউন্ট থেকে ঐ ধরনের ভুয়া তথ্য সংবলিত পোস্ট শেয়ার করা হবে, ততো লম্বা হবে ঐ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ| কিন্তু পঞ্চম বারের মতো ‘স্ট্রাইক’ হলে অ্যাকাউন্ট স্হায়ীভাবে স্হগিত করে টুইটার। কোনো টুইটের কারণে টেইলম পঞ্চম স্ট্রাইকের ভুক্তভোগী হয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি ভার্জ। তবে বিবিসি বলছে, শনিবার গ্রিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘কোভিড টিকার কারণে মৃতু্যর হার অসম্ভবরকম বেশি’ টুইট করার পরই ‘নিষিদ্ধ’ হয়েছে তার অ্যাকাউন্ট।
নিষিদ্ধ হওয়ার পর টুইটারকে ‘আমেরিকার শত্রু’ বলে আখ্যা দিয়েছেন গ্রিন। বিকল্প সামাজিক মাধ্যম হিসেবে পরিচিত টেলিগ্রামে লম্বা পোস্ট দিয়ে ৪৭ বছর বয়সি কংগ্রেস সদস্য বলেছেন, ‘সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফরমগুলো সত্যের প্রচার বন্ধ করতে পারবে না।’
টুইটার ‘কমিউনিস্ট বিপ্লবের’ বেনামী সমর্থকদের সহযোগিতা করছে, এমন অভিযোগও তুলেছেন তিনি। গ্রিনের দাবি, ‘ভ্যাকসিন অ্যাডভার্স ইভেন্ট রিপোর্টিং সিস্টেম (ভিএইআরএস)’ ডেটাবেইজ থেকে পাওয়া তথ্য টুইট করায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট। কোভিড টিকার বিরূপ প্রভাব সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণ করে ডেটাবেইজটি।
গেল বছর প্ল্যাটফরমের নীতিমালা ভঙ্গের কারণে একাধিকবার গ্রিনের অ্যাকাউন্ট স্হগিত করেছিল টুইটার। তবে কংগ্রেস সদস্য হিসেবে টুইটারে গ্রিনের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টটি এখনো অক্ষত আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।