বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে সিনেমা পাড়া। আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এই দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এ নির্বাচনে একটি প্যানেলে রয়েছেন বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। আরেকটি প্যানেলে আছেন বর্তমান কমিটির মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান।
নির্বাচনকে সামনে রেখে প্যানেল ঘোষণার জন্য রবিবার (৯ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ বলেন, ‘রিয়াজ ভাই, ফেরদৌস ভাই, সাইমন তারা একেকজন আমার সৈন্য। তারাই আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। কাঞ্চন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ, আপনি এই সময়ে এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যদি আমার প্যানেল জয়লাভ করে, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে নিয়ে আসব। তিনি ছাড়া এফডিসিকে বাঁচানো সম্ভব না। ওনাকে স্বচক্ষে দেখাব। তার বাবার হাতে গড়া এফডিসি কী অবস্থায় আছে। আমার মনে হয় উনি যদি একবার আসেন, তাহলে এফডিসির চেহারা বদলে যাবে।’
নিপুণ বলেন, ‘এটা সামান্য একটা নির্বাচন। এটা শেষ হয়ে গেলে আমরা এক জায়গার মানুষ। তাই নির্বাচন শেষে কেউ কথা বলা, মুখ দেখাদেখি বন্ধ করবেন না। এখানে দুইটা পক্ষ করতে হয়। তাতে হার-জিত থাকবেই। আমি জানি না, আমরা কী করব।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি কিন্তু তেমন কিছু করছি না। নিপুণই সব কিছু আয়োজ করছে। সে একটা টিম তৈরি করেছে। এরপর সে আমার কাছে এসেছে। এই যে টিম তৈরি করা এটা কিন্তু নেতৃত্বের একটা গুণ। নেই গুণটি তার মধ্যে দেখেছি বলেই আমি তার কাছে নির্বাচনে এসেছি। তাকে নিয়ে আমি প্যানেলটি সমর্থন করছি এবং নির্বাচন করার মনস্থির করেছি।’
সেখানে উপস্থিত হন চিত্রনায়ক রিয়াজ, নায়িকা নূতন, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকসহ অনেকেই।
এবার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিনেতা পীরজাদা হারুন। তার সঙ্গে থাকবেন বিএইচ নিশান ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় দেখা যাবে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে। এই বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেনকে।
ইত্তেফাক/বিএএফ