বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অস্ট্রেলিয়া থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন জকোভিচ

আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৩৪

বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ তার আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর এখন তাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে বহিষ্কার করা হবে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার তাকে দেয়া ভিসা বাতিল করার পর তিনি সেটি আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। কিন্তু আদালতের বিচারকরা তার আবেদন খারিজ করে দেন ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নোভাক জকোভিচ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশগ্রহণের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যান। কিন্তু তিনি করোনাভাইরাসের টিকা ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকেছিলেন।

আদালত তার আবেদন খারিজ করে দেয়ার পর নোভাক জকোভিচের ২১ বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে রেকর্ড করার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। 

নোভাক জকোভিচ বলেছেন, তিনি আদালতের রায়ে 'হতাশ' হয়েছেন, তবে এই রায় তিনি মেনে নিচ্ছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমার অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করবো। তবে এটা স্পষ্ট নয়, তিনি কখন অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে যাবেন।

আদালতে যখন রায় ঘোষণা করা হচ্ছিল, তখন বাইরে তার সমর্থকদের মধ্যে নীরবতা নেমে আসে। তার একজন ভক্ত বিবিসিকে বলেন, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যদি নোভাক জকোভিচ না খেলেন, তার এই গ্রীষ্ম খুব ফাঁকা বলে মনে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি আমাদের সীমান্তকে শক্ত রাখা এবং অস্ট্রেলিয়ানদের নিরাপদ রাখার জন্যই।

তিনি বলেন, মহামারির সময় অস্ট্রেলিয়ানরা অনেক আত্মত্যাগ করেছে এবং স্বাভাবিকভাবেই তারা আশা করে যে তাদের এসব আত্মত্যাগ যেন সুরক্ষিত থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক যখন সার্বিয়ান টেনিস তারকা জকোভিচের ভিসা বাতিল করেন, তখন তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, অস্ট্রেলিয়ায় তার উপস্থিতি টিকা-বিরোধী মনোভাবে হাওয়া দিতে পারে। 

রোববার আদালতে শুনানির সময় জকোভিচের আইনজীবীরা যুক্তি দেন যে, সরকার যে অজুহাতে ভিসা বাতিল করেছে তা 'অযৌক্তিক এবং অকার্যকর।'

প্রধান বিচারপতি জেমস আলসপ বলেন, ফেডারেল আদালতের রায়ের ভিত্তি ছিল মন্ত্রীর সিদ্ধান্তটি আইনসংগত এবং বৈধ ছিল কিনা। এই সিদ্ধান্ত কতটা বিচক্ষণ ছিল, সেটি তারা বিচার করেন নি।

অস্ট্রেলিয়া যখন কাউকে বহিষ্কার করে, তখন সাধারণত তার অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার ওপর তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এই নিয়ম শিথিল করার সুযোগ আছে। বিবিসি 

 

 

 

ইত্তেফাক/এসআর