বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

খুলনা সিরাজগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৫৯

খুলনা, সিরাজগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। খুলনা বিভাগে সংক্রমণ দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর।

খুলনা : খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন গত শনিবার শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩২ জনের। সেই তুলনায় রবিবার করোনা শনাক্ত হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। রবিবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ জন রোগীর মধ্যে যশোরেই ৪০ জন শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা জেলায় ২৫ জন, ঝিনাইদহে ১৩ জন, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় তিন জন করে এবং সাতক্ষীরায় দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া, বাগেরহাট ও মাগুরা জেলায় কারো করোনা শনাক্ত হয়নি। খুলনা ২০০ শয্যা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের ইয়েলো জোনে আট জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, গত শনিবার রাতে খুমেকের পিসিআর মেশিনে ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, সারা দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অনীহা, এক স্থানের মানুষ অন্য স্থানে যাতায়াত, যথাযথভাবে মাস্ক না পরাসহ বিভিন্ন কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। চলতি মাসের শুরু থেকে খুলনায়ও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। জেলায় ৮-৯ শতাংশ সংক্রমণ রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ :করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার প্রেক্ষিতে সরকার বিধি-নিষেধ আরোপ করলেও সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অনেকেই। এ ব্যাপারে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, শহরে চলাচলকারী অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই। ফলে করোনার বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় জানান, ইতিমধ্যেই ১১ দফা নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষে প্রচার করা হলেও জেলাবাসীর মধ্যে নিষেধাজ্ঞা মানার প্রবণতা কম। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অভিহিত করা হয়েছে।

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) :রায়পুর উপজেলায় অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৬০ শতাংশ জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গত শনিবার চার জনের মধ্যে তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে ৩০০-৩৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহে গড়ে ৪০০-৪৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে হাসপাতালে মাত্র আট জন রোগী ভর্তি আছে, বাকিরা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. বাহার উদ্দিন বলেন, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। কিন্তু সে হারে পরীক্ষা হচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাকির হোসেন বলেন, প্রতিদিনই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা রোগীদের করোনা পরীক্ষা করার কথা বললেও তাদের অধিকাংশই নানা অজুহাতে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। 

ইত্তেফাক/ ইআ